সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, সবজি, মুরগি ও কাঁচামরিচের। এছাড়া দাম কমেছে ডিম ও আলুর। অপরদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
বাজারে বেশির ভাগ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, সিম ১২০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, কাকরোলা ৬০ টাকা, পাতা কফি ও ফুল কফি প্রতিপিস ৫০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিপিস ৪০ টাকা, প্রতিপিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা আল আমিন বলেন, বাজারে চাহিদা অনুযায়ী সবজির যোগান নেই। যোগান বাড়লে দাম কমবে।
এসব বাজারে আলুর দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকা কেজি। পেঁয়াজের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। বাজারে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। কেজিতে ২০ টাকা দাম বেড়ে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।
বাজারে শুকনো মরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুন ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদা ১০০ টাকা, হলুদের গুড়া ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকা। এছাড়া ইন্ডিয়ান মসুর ডাল কেজিপ্রতি ৯০ টাকা ও দেশি মসুর ডাল ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। খুচরা প্রতিলিটার তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৩ টাকায়। আগের দামে কেজিপ্রতি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। বাজারে দামে বেড়েছে খুচরা আটার। প্রতিকেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।
বাজারে দাম কমেছে ডিমের। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
এসব বাজারে আবারও বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। সোনালি (কক) মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৩০ টাকায়।
১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, পোল্ট্রি ফার্মের মুরগি কম থাকায় মুরগির দাম বাড়তি। আসলে খামারে মুরগি থাকা সত্ত্বেও মহাজনরা নানা অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছে মুরগির। পোল্টি ফার্মের মালিকরা বলছেন, মুরগির উৎপাদন কম থাকায় বিভিন্ন জেলা থেকে মুরগি এনে সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে বাড়ছে মুরগির দাম। আরও দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে।