শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সাফের শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশন শুরু করল বাংলাদেশ।
মালদ্বীপের মালেতে দেশটির জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকাল পাঁচটায় শুরু হওয়া ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে লঙ্কানদের হারিয়েছে বাংলাদেশ।
পেনাল্টিতে দলের একমাত্র গোলটি আসে তপু বর্মনের পা থেকে।
মূল একাদশে তপুকে ফুলব্যাকের ভূমিকায় রেখে ফরোয়ার্ড জুয়েল ও ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাতকে মাঠে নামাব অস্কার ব্রুজন। জেমির রক্ষণ কৌশল ঝেড়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে নামার আশ্বাস দেয়া অস্কারের দল আধিপত্য বিরাজ করে পুরো ম্যাচে।
ফরমেশনে অনুমেয় ৪-৩-৩ কৌশলে মাঠে নেমে আধিপত্য দেখায় বাংলাদেশ।
তবে প্রথম গোলের দেখা পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। প্রথমার্ধে বাংলাদেশকে রুখে দেয় শ্রীলঙ্কা।
প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে সবচেয়ে বড় সুযোগটি তৈরি হয় টাইগারদের। ইয়াসিন আরাফাতের ক্রস ডি-বক্সের ভেতর থেকে হেড করেন তপু বর্মন। দারুণভাবে তপুর নেয়া হেড কর্নারের বিনিময়ে বিপদমুক্ত করেন লঙ্কান গোলকিপার সুজান ডন।
দ্বিতীয়ার্ধেও কৌশল প্রায় একই রকম রাখা হয়। শুধু সাদকে বদলি হিসেবে নামিয়ে আক্রমণে ধার বাড়ানোর পরিকল্পনা নেয় অস্কার ব্রুজন।
সাদ নেমে খেলাতেও কিছুটা ধার বাড়ে দলের।
ম্যাচের ৫৪ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত মুহূর্তটি আসে বাংলাদেশের। পেনাল্টি পেয়ে যায় লাল-সবুজরা। পেনাল্টি থেকে দলকে প্রথমবার লিড এনে দেন তপু বর্মন।
দুই হলুদ কার্ডে লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছেড়ে যান ডাকসন পুসলাস। ১০ জনের দলে পরিণত হয় শ্রীলঙ্কা।
একজন কম নিয়েও সমতায় ফেরার চেষ্টা করে শ্রীলঙ্কা। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে রাজিক ওয়াসিমের শট তপুর পায়ে ডিফ্লেক্ট হয়ে চলে যায় গোলকিপার জিকোরে হাতে।
ম্যাচের বাকী সময় লাগাতার মুহূর্মুহূ আক্রমণ সাজিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ব্যবধান বাড়ানো সম্ভব হয়নি সমন্বয়ের অভাবে। গোল ফিনিশিংয়ে আরেকটু মনোযোগী হলে স্কোরের ব্যবধান বাড়িয়ে ফিরতে পারত বাংলাদেশ।
তবে, জয়ের স্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে সক্ষম হয়েছে অস্কার ব্রুজনের বাহিনী।
এই জয় নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বাংলাদেশ দলের। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে পরের ম্যাচে আগামী ৪ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ।