ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এডিসের পাশাপাশি কিউলেক্স মশার বিরুদ্ধেও আগামী ৯ অক্টোবর থেকে চিরুনি অভিযান শুরু হবে।
শনিবার এডিস মশা ও ডেঙ্গু মোকাবেলায় উত্তরা-৪ নম্বর সেক্টর এলাকায় জনসচেতনতামূলক র্যালী উদ্বোধন, মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শন এবং ‘দশটায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’ স্লোগান বাস্তবায়নপূর্বক উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে সার্বিক পরিস্থিতি উপস্থাপনকালে ডিএনসিসি মেয়র একথা বলেন।
তিনি বলেন, সুস্থ্যতার জন্য সামাজিক আন্দোলনের কার্যকর প্রভাবেই ডিএনসিসি এলাকার ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং শনাক্তের হারও রাজধানীর অন্যান্য এলাকার তুলনায় অনেক কম। আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার জন্য সুস্থ্য পরিবেশ’ নিশ্চিতকল্পে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনার পর শুক্র ও শনিবার সরকারী, বেসরকারী ও আধসরকারী বিভিন্ন প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ ফগিং ও লার্ভিসাইডিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
মেয়র বলেন, রোদের পর বৃষ্টি, বৃষ্টির পর রোদ এরকম আবহাওয়া এডিস মশার বংশ বিস্তারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তাই এডিস মশা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে কারণ জনসচেতনতার কোন বিকল্প নাই। তিনি বলেন, নিজেদের বাসাবাড়ি কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, বিভিন্ন ধরনের খোলা প্যাকেট বা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কিছুতে যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, কারও একার পক্ষেই এডিস মশা দূর করা সম্ভব নয়, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশেপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে এডিস মশার বংশবিস্তার রোধ করতে হবে।
মেয়র বলেন, নগরসহ দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব সকলের, নিজ নিজ অবস্থানে থেকে এবিষয়ে সকলকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন, আশা করা হচ্ছে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, সমাজের সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ‘দশটায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’ স্লোগানটিকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়রের উপস্থিতিতেই উত্তরায় আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল এন্ড কলেজে ফগিং ও লার্ভিসাইডিংসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জোবায়দুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।