পরীমণির বিরুদ্ধে বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলার তদন্ত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। খুব দ্রুত এই মামলা সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পরীমণির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলাটির তদন্ত কাজ প্রায় শেষ। এ সংক্রান্ত পুলিশ রিপোর্ট খুব দ্রুত আদালতে জমা দেওয়া হবে।
পুলিশ রিপোর্টটি কি চার্জশিট হিসেবে দাখিল করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এইটা এখন বলা যাবে না। পুলিশ রিপোর্ট যেকোনো কিছু হতে পারে। এইটা চার্জশিট বা অন্য কিছুও হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট পরীমণির বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে মাদকসহ গ্রেফতার করে র্যাব-১। এ সময় তার বাসা থেকে বিদেশি মদের খালি বোতল, বোতলভর্তি মদ, ইয়াবা, আইস ও এলএসডি জব্দ করা হয়। পরে বনানী থানায় র্যাব-১ তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করে। পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি।
গ্রেফতার হওয়ার পর পরীমণিকে এখন পর্যন্ত তিন বার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গ্রেফতারের ২৬ দিন পর গত ১ সেপ্টেম্বর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান পরীমণি।
এদিকে পরীমণিকে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়ার ঘটনায় বিচারকদের ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট। ২৪ অক্টোবরের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে।
৪ আগস্ট গ্রেফতার হওয়ার আগে পরীমণি অভিযোগ এনেছিলেন ৯ জুন রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় তিনি মামলাও করেছিলেন। ওই মামলায় প্রধান আসামি করা হয় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে। পরীমণির করা ওই মামলায় গ্রেফতারও হন নাসির উদ্দিন।
পরে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের জামিনের পর গ্রেফতার হন পরীমণি।