প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটা খুব দুর্ভাগ্য মানবজাতির জন্য যে, প্রতি সময় আমরা দেখি যেকোনো একটা মহামারী আকারে দেখা দিলে সেখানে কিছু শ্রেণি আছে তারা তাদের আর্থিক লাভ লোকসানটার দিকে যতবেশি তাকায় ঠিক মানুষের দিকে অত তাকায় বলে আমার মনে হয় না। এটা শুধু আমার দেশে বলে না, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এটা আমরা লক্ষ্য করি। যে কারণে এটাকে (টিকা) আমি সার্বজনীন করার জন্য বলেছি। শুধু তাই না আমি এটাও বলেছি বাংলাদেশ টিকা তৈরি করতে প্রস্তুত।
সোমবার বিকাল ৪টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের করোনার টিকাকে সর্বজনীন করা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ইতোমধ্যে ১০ একর জায়গা নিয়ে রেখেছি। সার্বিক ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং আমাদের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইতোমধ্যে গাভির (টিকা বিষয়ক আন্তর্জাতিক জোট) সঙ্গে আলোচনা করেছে, ডব্লিউএইচও’র (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) সঙ্গে আলোচনা করেছে। আমরা বলেছি আমরা ফর্মূলা চাই। আমরা সিড চাই এবং আমরা বাংলাদেশে এটা (টিকা তৈরি) প্রস্তুত করতে পারবো।
করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সাফল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এইটুকু বলবো যে বাংলাদেশ, হ্যাঁ আমরা চেষ্টা করেছি। আমি বাংলাদেশের মানেুষের কাছে কৃতজ্ঞ এই কারণে যে, যখনই আমরা আহ্বান করেছি যে, করোনা মোকাবিলা করার জন্য যা যা করণীয় তারা যেন সেটা পালন করে। অনেক সময়, প্রথমদিকে দ্বিধা দ্বন্দ্ব ছিল। কিন্তু এখন সবাই অন্তত সেটা মেনে চলে। মেনে চললে পরে, এমনকি টিকা নেওয়ার পরও কিন্তু মাস্কটা পরে রাখা বা একটু দূরত্ব রাখা বা হাতট পরিষ্কার রাখা। এটা কিন্তু করা উচিত। এটা করতে হবে। এটা করলে পরে আরো অনেকটা এগুতে পারবো।