নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্প্রসারণে টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার অনলাইনে প্রথম এশিয়া গ্রিন গ্রোথ পার্টনারশিপ মিনিস্টারিয়াল মিটিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সৌর বিদ্যুতের জন্য জমির স্বল্পতা নিরসনে উন্নত প্রযুক্তি সমহারে বণ্টন করা আবশ্যক। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পেলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্প্রসারিত হবে এবং ক্লিন জ্বালানির ব্যবহার বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বছরভিত্তিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে দুই কোটি গ্রামীণ গ্রাহকদের বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হয়েছে। ছাদ সৌর বিদ্যুৎকে জনপ্রিয় করার জন্য নেট মিটারিং গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে।
সেচ কাজের জন্য সোলার পাম্প ব্যবহৃত হচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৫টি বায়ুচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে ২৪৫ মেগাওয়াটের ক্ষমতার বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলমান। বর্জ্য থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। উপরন্তু নেপাল ও ভুটান হয়ে জলবিদ্যুৎ আমদানির কাজও চলমান। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও ক্লিন জ্বালানির অংশ বাড়াতে আমাদের পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান হালনাগাদ করা হচ্ছে।
জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী হিরোশি কাজিয়ামার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী প্রিন্স আব্দুল আজিজ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী সুলতান আহমেদ আল জাবের, ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদমন্ত্রী আরিফিন তাসরিফ ও ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরল সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।