বিশ্বব্যাপী পাঁচ বিলিয়নের বেশি মানুষ ২০৫০ সালের মধ্যে পানির অভাবের মুখে পড়তে পারে বলে জাতিসংঘের (ইউএন) একটি সংস্থার প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) মঙ্গলবার বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তন বন্যা ও খরা প্রভৃতি জল-সম্পর্কিত বিপদের বিশ্বব্যাপী ঝুঁকি বাড়ায় এবং পানির সংকটে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দ্য স্টেট অফ ক্লাইমেট সার্ভিসেস ২০২১: ওয়াটারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বছরে অন্তত এক মাস প্রয়োজনীয় পানি পাননি, এমন মানুষের সংখ্যা ৩.৬ বিলিয়ন। ২০৫০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা পাঁচ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।
সঙ্কট মোকাবেলায় প্রতিবেদনে সমবায়ভিত্তিক পানি ব্যবস্থাপনার উন্নতি, সমন্বিত পানি ও এবং জলবায়ু নীতি গ্রহণ এবং গুরুত্বপূর্ণ এই খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছেG
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মহাসচিব অধ্যাপক পেটারি তালাস বলেন, “তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বৈশ্বিক ও বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণের কারণে বৃষ্টিপাতের ধরণ এবং ঋতু পরিবর্তিত হচ্ছে। এর বড় প্রভাব পড়ছে খাদ্য নিরাপত্তা এবং মানুষের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার উপর।”
গত ২০ বছরে ভূপৃষ্ঠের সমস্ত পানির সঞ্চিতি প্রতি বছরে এক সেন্টিমিটার হারে কমেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে অ্যান্টার্কটিকা এবং গ্রিনল্যান্ডে। তবে অপেক্ষাকৃত নিচু অঞ্চলগুলোতেও পানির স্বল্পতা দেখা দিচ্ছে। আর এর প্রভাব পড়ছে পুরো পানি নিরাপত্তার ওপর।
পৃথিবীতে মাত্র ০.৫ শতাংশ পানি ব্যবহারযোগ্য এবং মিঠা পানি পাওয়া যায়। দিনে দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।
গত ২০ বছরে পানি সম্পর্কিত সমস্বিযাও বেড়েছে। আগের দুই দশকের তুলনায় ২০০০ সাল থেকে বন্যা সংক্রান্ত দুর্যোগ ১৩৪ শতাংশ বেড়েছে। বন্যায় অধিকাংশ মৃত্যু এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির ঘটনা বেশি ঘটেছে এশিয়ায়।
একই সময়ে খরা এবং এর ব্যাপ্তিকালও ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খরায় অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা আফ্রিকায় ঘটেছে।
সূত্র: এনডিটিভি