দেশের অন্যতম ব্যস্ত নৌপথ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া। যেকোনো উৎসব এলেই দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়ে এ রুটে। আসন্ন দুর্গাপূজা ও ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই বাড়তি যানবাহনের চাপ রয়েছে ফেরিঘাটে।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে ২০টি ফেরি থাকলেও ১৮টি ফেরি দিয়ে নৌপথ পারাপার করছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। দুটি ফেরি বিকল থাকায় বাড়তি যানবাহনের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। ফলে ব্যহত হচ্ছে যানবাহন পারাপার।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা ঘুরে যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি এবং পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকাগামী সড়কের আরসিএল মোড় ছাড়িয়ে গেছে বাসের সারি। ঘাট থেকে ঢাকামুখী সড়কে ফায়ার স্টেশন পর্যন্ত রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাকে দীর্ঘ সারি। অন্যদিকে উথুলী সংযোগ মোড় থেকে আরিচামুখী সড়কে কয়েক শতাধিক ট্রাক ঘাটে আসার অপেক্ষায় রয়েছে। মোট মিলে ৮ শতাধিক যানবাহন নৌপথ পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
যশোরগামী ট্রাকচালক দুলাল মিয়া বলেন, ঘাটে যানবাহনের ভিড়ে থাকতে থাকতে জীবন শেষ। বাস আর ছোট গাড়ির চাপে আমরা ফেরিতে ওঠার সুযোগ পাই না। সারা বছরই আমাদের ঘাটে ভোগান্তি পোহাতে হয়। বাস, ছোট গাড়ির জন্য ট্রাক কম পার করছে কর্তৃপক্ষ।
আরেক ট্রাকচালক হাবিব মিয়া বলেন, গতকাল রাতে ঘাটে আসছি, এখনও ফেরিতে উঠতে পারলাম না। ঘাটে গাড়ির প্রচুর চাপ। প্রচণ্ড গরম থাকায় গাড়িতে বসে থাকাও দুষ্কর। আধা ঘণ্টার নৌপথ পার হতে ৮-১০ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
গোল্ডেন লাইন বাসের চালক হাফিজউদ্দিন বলেন, ছুটি দিন আর পূজার কারণে ঘাটে গাড়ির চাপ বেশি। দুই ঘণ্টা ধরে সিরিয়ালে আছি। এখনও ফেরির দেখা পাইনি। আশা করছি, ঘণ্টা খানেকের মধ্যে ফেরিতে উঠতে পারব।
ফরিদপুরগামী বাসের যাত্রী লক্ষ্মী রানী বলেন, দীর্ঘ দিন করোনার কারণে ঘরবন্দি জীবন পার করছি। সামনে দূর্গাপুজা। তাই পরিবারের সঙ্গে পূজার আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যস্থাপক (বাণিজ্য) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ছুটির দিন আর সামনে পূজার কারণে সকাল থেকেই ঘাট এলাকায় দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রী ও যানবাহনের বাড়তি চাপ রয়েছে। তবে যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে বাস ও ছোট গাড়ি পারাপার করায় ঘাটে আটকে পড়ছে পণ্যবাহী ট্রাক। এতে ট্রাকচালকরা কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েছেন। বাস ও ছোট গাড়িগুলো এক থেকে দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর নৌপথ পারাপার হতে পারছে।