রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজের সঙ্গে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ২৫ টাকা এবং পেঁয়াজে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বেড়েছে। এছাড়া মোটা চালের দামও বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। তবে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে কাঁচা মরিচ ও ডিমে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও মালিবাগ বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ ১৫৫ থেকে ১৬০ এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ এবং ব্রয়লারের দাম ছিল ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। তবে মাস খানেক আগে আরও কম দামে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে ব্রয়লার মুরগি। পাকিস্তানি মুরগিরও দাম বাড়তি। বিক্রেতারা প্রতি কেজির দাম নিচ্ছেন ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা।
এদিকে বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকা স্বর্ণা ও বিআর-২৮ জাতীয় চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়ে ৫০ থেকে ৫৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৫ টাকা, নাজিরশাইলের দাম ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। এর আগে থেকে বেড়ে যাওয়া চিনি, সয়াবিন তেল ও মসুর ডালের দাম কমেনি এখনও। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত ৫ সেপ্টেম্বর লিটারে ৪ টাকা বাড়িয়ে খোলা সয়াবিন তেলের দর খুচরা পর্যায়ে ১২৯ টাকা, পামওয়েল ১১৬ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিনের প্রতি লিটার ১৫৩ টাকা নির্ধারন করে দেয়।
এরপর ৯ সেপ্টেম্বর খোলা চিনির দাম প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ৭৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ৭৫ টাকা নির্ধারন করে দেয়া হয়। কিন্তু এই দামে রাজধানীর কোথাও খুচরা বিক্রেতারা সয়াবিন তেল ও চিনি বিক্রি করছেন না। খোলা সোয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৪০ থেকে ১৪৫, বোতলজাত প্রতি লিটার ১৪৮ থেকে ১৫০, খোলা চিনি ৮০ এবং প্যাকেটজাত চিনি ৮৫ থেকে ৮৭ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। আগের মতই আমদানি করা মসুর ডাল ৯০ এবং দেশি মসুর ডাল ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে মালিবাগ বাজারের একজন মুদি দোকানদার বলেন, খোলা সয়াবিন ও বোতলজাত তেল দুটোই প্রায় সমান দামে কিনতে হয়। খোলা সয়াবিনের দাম পাইকারিতে ১৩৭ থেকে ১৩৮ টাকায় কিনতে হয়। ফলে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি করতে হয়। কিন্তু এই দামে বিক্রি করলে সরকারি সংস্থাগুলোর রোষানলে পড়তে হয়। সেই কারণে ব্যবসায়িরা খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করতে চান না।
বাজারে শীতের সবজি আসা শুরু হলেও দাম চড়া। বিক্রেতারা ছোট আকারের প্রতি পিস ফুলকপির দাম হাঁকছেন ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এছাড়া সিম ৮০ থেকে ৯০ টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা। তবে অন্যান্য সবজি মিলবে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। এছাড়া রুই মাছের কেজি মানভেদে ২৫০ থেকে ২৮০, কাতল ৩০০ থেকে ৩২০, কই ১৫০ থেকে ১৭০, চিংড়ি ৪০০ থেকে ৮০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।