শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

আশুলিয়া সাব-রেজিষ্ট্রার ও ২ ওমেদারের নেতৃতে গঠিত সিন্ডিকেটের অত্যাচারে অতিষ্ট দাতা-গ্রহীতারা

শেখ নাজমুল:
  • প্রকাশিত সময় : শনিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২১
  • ৫৩৩ পাঠক পড়েছে

খাজনা খারিজ ছাড়াই মোটা অংকের বিনিময়ে হচ্ছে দলিল রেজিষ্ট্রি

আশুলিয়া সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে ঘুষ ও ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করে চলেছেন সাব-রেজিষ্ট্রার রেজাউল করিম ও তার দুই সহযোগী ওমেদার, মিলন, শওকত। একাধিক সুত্রে জানা গেছে সাব-রেজিষ্ট্রার রেজাউল করিম খাস কামরায় জমি রেজিষ্ট্রি ও একাধিক দালালের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। নামজারী ও অন্যান্য কাগজপত্র ফটোকপি দেখেই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রতিদিন রেজিষ্ট্রি হচ্ছে একাধিক দলিল। বিভিন্ন অজুহাতে অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত লাখ লাখ টাকা ওমেদার, মিলন ও শওকত গংরা। অপরদিকে কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা জেলা আশুলিয়া একই জমি একাধিক বার বিক্রি করে এই সাব-রেজিষ্ট্রার অফিস থেকে দালালের মাধ্যমে ভূয়া দলিল সম্পাদন করেন সাব-রেজিষ্টার নিজেই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে। চাহিদা মত ঘুষের টাকা পেলে খাজনা খারিজ ছাড়াই যে কোন জমির দলিল সম্ভব। কারণ ঢাকা জেলা আশুলিয়া সাব রেজিষ্ট্রার রেজাউল করিম তার চাহিদা মত টাকা না পেলে কোন দলিলেই স্বাক্ষর করেন না। যে কারনে, একই জমি একাধিক বার বিক্রির অভিযোগেরও শেষ নাই। জমি আছে দলিল নেই, আর দলিল আছে জমি নেই এমন অভিযোগও অহরহ।

বিশেষ করে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল হওয়ায় সরকারি নানান রকম নতুন নতুন স্থাপনা, বিনোদন কেন্দ্র ও প্রসস্ত রাস্তা তৈরী হওয়ায় রাতারাতি জমির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় জমির বেচাকেনাও হয় যথেষ্ট। যে কারনে এ অঞ্চলে একাধিক দালাল চক্র জমি বেচা কেনায় জড়িত। কোন জমি বেচা কেনা দালাল ছাড়া কোন ভাবেই সম্ভব নয়। আর এদের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন সাধারণ জনগণ। জমি ক্রয় করলেই উক্ত দালাল চক্রের মাধ্যমেই রেজিষ্ট্রিও করাতে হয়।

সাব-রেজিষ্ট্রার রেজাউল করিম ও ওমেদার, মিলন, শওকত দের সঙ্গে দালাল চক্র ও অসাধু কিছু দলিল লেখকদের রয়েছে বিশেষ সখ্যতা। তারা মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়ে সাব-রেজিষ্টার রেজাউল করিম কে ম্যানেজ করে সঠিক কাগজ পত্র ছাড়াই নিয়মিত জমি রেজিষ্ট্রি করেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক দলিল লেখকগণ আজকের সংবাদকে জানান। এছাড়াও জমির সকল কাগজপত্র ঠিক থাকলেও দলিল মূল্যের ২% থেকে শুরু করে ৫% পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয় সাব-রেজিষ্ট্রার কে। এ ক্ষেত্রে খাজনা খারিজ বা বি,এস, আর,এস রেকর্ডেরও প্রয়োজন পড়েনা। শুধু চাহিদা মাফিক নির্দিষ্ট অংকের ঘুষ দিলেই সকল অবৈধ কাজ বৈধ হয়ে যায়।

সরেজমিনে আশুলিয়া সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে তথ্য সংগ্রহে গেলে আরো জানা যায়, এ অফিসের ৫/৭ জন দালাল রয়েছে মিলন ও শওকতের নেত্রীত্বে। এছাড়াও দূর্নীতির দায়ে সাময়িক বরখাস্তকৃত অফিস সহকারী ভারতী রানী দৈনিক হাজিরা দেওয়ার নামে দেদার্সে তার অফিশিয়াল কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সাব-রেজিষ্টারকে অবৈধ ঘুষ লেনদেনে প্রত্যক্ষ সহযোগীতা করেন ওমেদা, মিলন ও শওকত যাদের দৈনিক হাজিরা পান ৬০ (ষাট) টাকা কিন্তু সাব-রেজিষ্ট্রারেরর যোগসাজসে অস্বচ্ছ উপায়ে কোটিপতি বনে গেছেন সাব-রেজিষ্ট্রার রেজাউল করিম ও ওমেদার, মিলন ও শওকত। মিলন নিজেকে মস্তবড় অফিসার দাবী করে স্থানীয় দলিল দাতা ও গ্রহিতাদের কাছে। একটি বিশ^স্থ সূত্রে আরো জানা গেছে, ওমেদার, মিলন সাবেক আশুলিয়া সাব-রেজিষ্ট্রার বুলবুল এর ভাতিজা তার দাপটে দিশেহারা আশুলিয়ার সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে আসা দাতা-গ্রহিতাগণ।

প্রকাশ থাকে যে, সাব-রেজিষ্ট্রার রেজাউল করিম এর দেশে বাড়ী গোপালগঞ্জ হওয়াতেই সাব-রেজিষ্ট্রারের সাথে সরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের রয়েছে নাকি বিশেষ সখ্যতা বলে থাকেন ওমেদার, মিলন। যার কারনে সাব-রেজিষ্ট্রারের এই অবৈধ কর্মকান্ডের বিষয়ে আশুলিয়ার দলিল লেখকগণ ও আশুলিয়া এলাকাবাসী জিম্মি হয়ে পড়েছেন সাব-রেজিষ্ট্রার গংদের কাছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে সাব-রেজিষ্ট্রারের মোবাইলে ফোন দিলে ফোন রিসিভ না করাতে তার মতামত পাওয়া যায়নি। ওমেদার, শওকতের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি আজকের সংবাদকে জানান উক্ত অভিযোগের বিষয়ে মিলন ভালো বলতে পারবেন। ওমেদার, মিলন এর ফোনে ফোন দিলে ফোন রিসিভ না করায় তাদের কোন মতামত পাওয়া যায়নি। আশুলিয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের এই মহা দূর্নীতিবাজদেরকে আইনের আওতায় ও দুদক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জোর দাবী জানিয়েছেন আশুলিয়া এলাকাবাসীগণ।

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580