আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলের ক্ষয়িষ্ণু অস্তিত্ব রক্ষা এবং সমর্থক-কর্মীদের রোষানল থেকে বাঁচতে হলে নির্বাচনে বিএনপিকে আসতেই হবে। ইউপি নির্বাচনেও বিএনপি পরিচয় লুকিয়ে অংশ নিচ্ছে। এটা তাদের বর্ণচোরা রাজনীতি।
রবিবার (১০ অক্টোবর) নিজ সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ে এসব মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপি নিজেদের দলের গণতন্ত্রকে গুম করে বাইরে গণতন্ত্র খুঁজে বেড়ায় বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
গণতন্ত্রকে নিরুদ্দেশ করা হয়েছে- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, তাদের এ ধরনের অভিযোগ উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর মতো। বিএনপিই গণতন্ত্রের এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। তারাই গণতন্ত্রের পথে না হেঁটে অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে পথ খুঁজছে।
তিনি বলেন, বিএনপিই জনরায়কে অশ্রদ্ধা দেখিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে থাকছে- আর বলছে গণতন্ত্র নিরুদ্দেশ। তাদের হঠকারিতা এবং নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গের যে অপরাজনীতি তাতে কোনো ফল অতীতে আসেনি। ভবিষ্যতেও আসবে বলে জনগণ মনে করে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও রীতিনীতি ভুলুণ্ঠিত করেছে বিএনপি। ক্ষমতায় থাকাকালে এমনকি বিরোধী শিবিরে থেকেও তারা স্বৈরাচারী। বিএনপি জানে নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতার হাত-বদলের অন্য কোনো বিকল্প নেই, তাই তারা মুখে যতো কথাই বলুক, নির্বাচনে তারা আসবে।
আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যে যা বলে তা করে না। আর যা গোপনে করে তা প্রকাশ্যে বলে না। তাইতো জনগণ বিএনপির দ্বিচারিতা বুঝতে পেরে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।