বিশ্বে প্রতি ৮ জনে একজন নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁঁকিতে রয়েছেন। বাংলাদেশে প্রতিবছর এই ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় ২০ হাজার নারী। তবে প্রতিরোধের মাধ্যমে তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশই নিরাময়যোগ্য। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল দেশে নবমবারের মতো পালিত হয়েছে স্তন ক্যানসার দিবস।
স্তন ক্যানসার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে ২০১৩ সাল থেকে বেসরকারিভাবে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘স্ক্রিনিং জীবন বাঁচায়’। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশি বয়সে প্রথম সন্তান ধারণ করা অথবা নিঃসন্তান থাকা, সন্তানকে বুকের দুধ পান না করানো, বয়স ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে হলে, পরিবারের কারও স্তন ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে, দীর্ঘদিন ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য পিল বা বড়ি খেলে, ১২ বছর বয়সের আগে প্রথম ঋতুস্রাব হলে অথবা ৫০ বছর পরে গিয়ে ঋতুস্রাব বন্ধ হলে, অত্যধিক চর্বিযুক্ত খাবার খেলে, ধূমপান, মদ্যপান এবং তামাকজাতীয় দ্রব্যে আসক্ত থাকলে, দীর্ঘদিন তেজস্ক্রিয় পদার্থের সংস্পর্শে থাকা নারীদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের ঝুঁকি থাকে।
তারা বলছেন, সচেতন হলে স্তন ক্যানসার নিরাময় করা সম্ভব। ঝুঁকিতে থাকা নারীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, ২০ বছর বয়স থেকেই নিজে নিজে স্তন পরীক্ষা করা এবং ৩৫ বছররের ওপরের নারীরা ম্যারেনাগ্রাফিক স্ক্রিনিং করলে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।