শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

যশোর শিক্ষা বোর্ডের আড়াই কোটি টাকা চেক জালিয়াতি তদন্তে দুদক

যশোর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় : রবিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২১
  • ২৫২ পাঠক পড়েছে

যশোর শিক্ষা বোর্ডের আড়াই কোটি টাকা চেক জালিয়াতি কাণ্ডে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। আজ রোববার দুপুর ১২টায় দুদক যশোর কার্যালয়ের উপপরিচালক নাজমুচ্ছাদাতের নেতৃত্বে তাদের একটি দল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের কক্ষে প্রবেশ করেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৯ টায় দুদক অফিসে লিখিত অভিযোগ দেন শিক্ষা বোর্ড সচিব এএমএইচ আলী আর রেজা।

চলতি অর্থবছরে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড সরকারি কোষাগারে জমার জন্য আয়কর ও ভ্যাট বাবদ ১০ হাজার ৩৬ টাকার ৯টি চেক ইস্যু করে। এই ৯ টি চেক জালিয়াতি করে ‘ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে এক কোটি ৮৯ লাখ ১২ হাজার ১০ টাকা এবং ‘শাহীলাল স্টোর’ নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের নামে ৬১ লাখ ৩২ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করা হয়।

সরকারি ছুটি থাকায় ঘটনা প্রকাশ্যে আসার দুইদিন পর আজ রোববার বোর্ডের সচিব এএমএইচ আলী আর রেজা দুদক কার্যালয়ে গিয়ে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর বেলা ১২টার দিকে দুদক কর্মকর্তারা বোর্ডে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন। দুদক কর্মকর্তারা সব কাগজপত্র সংগ্রহ করেছেন।

এদিকে চেক জালিয়াতির ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত শিক্ষা বোর্ডের হিসাব প্রদান শাখার হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম পালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোল্লা আমীর হোসেন। তিনি জানান, কিছু না জানিয়ে আজ অফিসে অনুপস্থিত আব্দুস সালাম। বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছেন তিনি পরিবারসহ বাড়ি থেকে পালিয়েছেন।

মোল্লা আমীর হোসেন বলেন, ‘যে দুইটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে তাদের মালিকেরা বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা ফিরিয়ে দেবেন বলে খবর পাঠাচ্ছেন। এটি একটি আইনি প্রক্রিয়া। টাকা ফেরত দিলেও তা আদালতের মাধ্যমেই নিষ্পত্তি হবে।’

বোর্ডের সচিব এএমএইচ আলী আর রেজা বলেন, ‘মাঝে দুই দিন সরকারি ছুটি থাকায় আজ রোববার আমরা দুদকে একটি অভিযোগ দিয়েছি। দুদক কর্মকর্তারা সেটি গ্রহণ করেছেন।’

দুদক যশোরের উপপরিচালক নাজমুচ্ছাদাতের জানান, শিক্ষা বোর্ড থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর তারা সেটি ঢাকায় প্রধান কার্যালয়কে অবহিত করে তদন্তের নির্দেশ পেয়েছেন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

এ বিষয়ে শিক্ষাবোর্ড এমপ্লইজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম এর আগেও অনেক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১২ লাখ টাকার একটি দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। সেই সময় তদবির করে তিনি সেখান থেকে রক্ষা পান। এরপর আড়াই কোটির টাকা দুর্নীতির সঙ্গেও তিনি জড়িত বলে নাম এসেছে। আব্দুস সালাম দুর্নীতির মাধ্যমে উপশহরে দুটি আলীশান বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ি এলাকায় ১০ বিঘা জমি এবং একটি বেসরকারি ক্লিনিকের মালিকানা অর্জন করেছেন।’

 

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580