আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপ ইউপি নির্বাচনে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ১ নং ষাটনল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নৌকার মাঝি হিসাবে মো: নুরুল আজাদকে পেতে চান ইউনিয়ন বাসী। এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে জানা যায় জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ রেল শ্রমিকলীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ হুমায়ুন কবিরের আপন সহোদর মোঃ নুরুল আজাদ ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য।
ষাটনল ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা এই পরিবারটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক। আজীবন তারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিবেদিত প্রাণ। তাই আওয়ামী পরিবারের এই সদস্য যদি নৌকার মাঝি হন তাহলে তাকে বিজয়ী করা সহজতর হবে। পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নসহ হতদরিদ্রদের সামাজিক উন্নয়নে তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। জনাব মোঃ নুরুল আজাদ পরিবারের রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। তার পিতা মরহুম মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ষাটনল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন এবং ২০০৯ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মতলব উত্তর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান, ষাটনল ইউনিয়নের নির্বাচিত ইউপি সদস্য। পাশাপাশি লালপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের জমিদাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ইমামপুর পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য।
জনাব নুরুল আজাদ ছাত্রজীবন থেকেই অদ্যাবধি আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রেখে আসছেন। তিনি ছাত্র জীবন শেষে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে চাকরি শুরু করেন এবং গত ৩ অক্টোবর ২০২০ তারিখে ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা হিসেবে অবসর নেন। তিনি ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর বিভিন্ন আন্দোলন সক্রিয় অংশগ্রহণ ৮৬ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ সহ ১৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হন। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পর সরকারের সকল অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ ঘোষিত সকল আন্দোলন সংগ্রামে ও সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়াও তিনি ১৯৭৮ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত টিএনটি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ১৯৮৪-৯২ পর্যন্ত কৃষি ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ’র প্রতিষ্ঠাতা দপ্তর সম্পাদক, ১৯৯৮ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু পরিষদ কৃষি ব্যাংক শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ২০১৬ থেকে অদ্যাবধি সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৯৮৪-১৯৯২ পর্যন্ত ঢাকা মহানগর শ্রমিকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে ও তিনি আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও পূর্ব লালপুর নুরে জান্নাত জামে মসজিদের সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত আছেন।
তার বড় ভাবি মরহুমা জলি কবির মহিলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মহিলা কমিশনার ছিলেন। তিনি ২০০৬ সালের ২১ জুলাই সংগঠনের কাজে নোয়াখালী যাওয়ার পথে দাউদকান্দি সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়ে ২৪ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারাযান। জনাব মোঃ নুরুল আজাদের মেজ ভাই মোঃ মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর শ্রমিক লীগের সাবেক কার্যকরী সদস্য ও বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ডেপুটি ট্যাক্স অফিসার হিসেবে নিয়োজিত আছেন। তার সেজ ভাই মোঃ মাহফুজুর রহমান ঢাকা মহানগর শ্রমিকলীগ (দ:) এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক অফিসার্স ঐক্য পরিষদের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সহ কৃষি ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। ছোট ভাই মোঃ মোসাদ্দেক আল ফেসানী (সুমন) রেল শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এবং তার স্ত্রী ফাতেমা তুজ জোহরা (টিয়া) কেন্দ্রীয় মহিলা শ্রমিকলীগের শিক্ষা সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক তারা দুইজনে রেলওয়েতে কর্মরত। জনাব নূরুল আজাদের একমাত্র পুত্র টিএম শাহরিয়ার আজাদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মেজর পদে কর্মরত এবং একমাত্র মেয়ে আয়েশা ফাতেমা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত।
সর্বোপরি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন মোঃ নুরুল আজাদ। সদাহাস্যজ্বল, মিষ্টভাষী ও অত্যন্ত মিশুক প্রকৃতির মানুষ মোঃ নুরুল আজাদ। মানুষের বিপদে, আপদে, সুখে-দু:খে একমাত্র আস্থার নাম মোঃ নুরুল আজাদ। তিনি এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, রাস্তাঘাটসহ যে কোন উন্নয়নে সর্বাত্নক ভূমিকা রেখে আসছেন। তাই এবার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার মাঝি হিসাবে নুরুল আজাদকে পেতে চান ইউনিয়নবাসী। আসন্য নির্বাচন উপলক্ষে জনাব মোঃ নুরুল আজাদ এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি সব সময় এলাকার মানুষের পাশে ছিলাম আছি ও ভবিষ্যতেও থাকবো। আমি জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলের দোয়া ও আর্শীবাদ কামনা করছি। আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দয়াকরে নৌকার টিকেট দিয়ে ইউনিয়নবাসীর সেবা করার সুযোগ দিলে আমি তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।