দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত নীতি, পরিকল্পনা ও কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে সুন্দরবনের ক্ষতি না হয়ে যাতে সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায় সে লক্ষ্যে স্ট্র্যাটেজিক এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান (এসইএমপি) সরকার বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘স্ট্র্যাটেজিক এনভায়রনমেন্টাল এসেসমেন্ট প্রতিবেদন এবং স্ট্র্যাটেজিক এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান সুন্দরবন সংরক্ষণে সুস্পষ্ট গাইডলাইন প্রদান করেছে। উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের সচেতনতা ও আন্তঃসমন্বয়ের মাধ্যমে স্ট্র্যাটেজিক এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করলে আমরা সুন্দরবন সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে পারব।’
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও সুন্দরবনের জন্য প্রস্তুতকৃত চূড়ান্ত খসড়া স্ট্র্যাটেজিক এনভায়রনমেন্টাল এসেসমেন্ট এবং স্ট্র্যাটেজিক এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ের অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হবার পর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে, ফলে পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনাও বাড়বে। সুন্দরবন রক্ষায় ইতোমধ্যে খসড়া স্ট্র্যাটেজিক এনভায়রনমেন্টাল এসেসমেন্ট প্রতিবেদন এবং স্ট্র্যাটেজিক এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান প্রস্তুত করে ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। সুন্দরবন সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের মতামতের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন দুটি চূড়ান্ত করা হবে।’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় পর্যায়ের এ মতবিনিময় সভার মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ) আহমদ শামীম আল রাজী, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, এসইএ প্রকল্পের পরিচালক মো. জহির ইকবাল, সিইজিআইএসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ, এসইএ প্রণয়নে নিয়োজিত পরামর্শক ও ফোকাল পয়েন্টরা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন।