পাপুয়া নিউগিনিকে ৮৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এখন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ারও সুযোগ রয়েছে টাইগারদের সামনে। সে জন্য স্কটল্যান্ড-ওমান ম্যাচের ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
ওমানের আল-আমিরাত স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৮১ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। জবাবে ১৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৩ ওভারে মাত্র ৯৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসা পাপুয়া নিউগিনি। ফলে ৮৪ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেলো বাংলাদেশ।
আজও বাংলাদেশের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে ৪৬ রানের পর বল হাতে নিয়েছেন চার উইকেট। নির্ধারিত ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচায় তিনি উইকেটগুলো সংগ্রহ করেন। এছাড়া দুইটি করে উইকেট শিকার করেছেন সাইফউদ্দিন ও তাসকিন আহমেদ এবং একটি নিয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান।
পাপুয়া নিউগিনির পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেছেন কিপলিন ডোরিগা। আর কেউ বলার মতো স্কোর করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৯.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৯৭ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় তারা।
এর আগে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুণ্যে ১৮১ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামেন নাঈম শেখ ও লিটন দাস। কিন্তু রানের খাতা খোলার আগেই শূন্য রানে ফিরে যান আগের ম্যাচের সর্বোচ্চ স্কোরার নাঈম। মোরিয়ার বলে বাউ’য়ের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এরপর লিটন দাসের সঙ্গে জুটি গড়ে তুলেন সাকিব। দলীয় ৫০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৯ রান করে আউট হয়ে যান লিটন। এরপর অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম মাত্র ৫ রান করে বিদায় নেন।
অপরপ্রান্ত আগলে রাখেন সাকিব। কিন্তু তিনিও ব্যক্তিগত অর্ধশত রানের কাছাকাছি গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন। দলীয় ১০১ রানের সময় ৪৬ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এরপর ঝড়ো উইলোতে নিজের অর্ধশত পূর্ণ করেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ২৮ বলে ৫০ রান। ঠিক তখনই ক্যাচ তুলে দেন টাইগার অধিনায়ক।
শেষ দিকে আফিফ হোসেন ২১ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৬ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। পাপুয়া নিউগিনির পক্ষে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন কাবুয়া মোরিয়া, ড্যামিয়েন রাভু ও আসাদ ভালা। আর একটি উইকেট নিয়েছেন সাইমন আটাই।