এ সময়ে বহু পরিবার ‘হাফ-টার্ম হলিডে’তে যাচ্ছে। এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে ইংল্যান্ডের জন্য সর্বশেষ ভ্রমণ বিষয়ক আইন পরিবর্তন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, স্কুল টার্মের মধ্যে স্বল্প মেয়াদি একটি ছুটিকে ‘হাফ-টার্ম হলিডে’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এই সুযোগটিকে কাজে লাগাতে চাইছে ইংল্যান্ড। বলা হয়েছে, যেসব ভ্রমণকারী ইংল্যান্ডে ফিরতে চান তারা বেসরকারি সেবাদানকারীদের কাছ থেকে ফ্লো টেস্ট করাতে পারবেন। এক্ষেত্রে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবাখাতের (এনএইচএস) কিট ব্যবহার করা যাবে না। সরকারি ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এই পরীক্ষার খরচ হবে ১৯ পাউন্ড। বৃটেনের মাটিতে পা রাখার আগে যাত্রীকে এই পরীক্ষা বুকিং দিয়ে যেতে হবে। তাদের ফ্লো টেস্টের ছবি পাঠাতে হবে রেজাল্ট যাচাই করতে। যদি কোনো যাত্রী তাতে ব্যর্থ হন তাহলে তাকে এক হাজার পাউন্ড জরিমানা করা হতে পারে।
আইনের এই পরিবর্তন প্রয়োগ করা হবে বৃটেনে বসবাসকারী ১৮ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রেও। তারা টিকা নিক বা না নিক- এই নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তাছাড়া তারা ইংল্যান্ড ফেরার আগেই কোথায় অবস্থান করবেন এ বিষয়ে একটি প্যাসেঞ্জার লোকেটর ফরম পূরণ করতে হবে।
স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, পরীক্ষায় যদি কারো পজেটিভ ধরা পড়ে তাহলে তাকে পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। এই পরীক্ষা এনএইচএস-এর মাধ্যমে বিনামূল্যে করাতে পারবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেছেন, যেসব মানুষ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে জীবন রক্ষাকারী টিকা নিয়েছেন, সেসব বৈধ ভ্রমণকারী যদি ইংল্যান্ড সফর করতে চান, তাহলে তারা কম খরচের ল্যাটারাল ফ্লো টেস্ট করাতে পারবেন। এতে রেজাল্ট পাওয়া যাবে দ্রুত। এ ঘোষণা দিতে পেরে আমি আনন্দিত। এতে পর্যটন শিল্প সমৃদ্ধ হবে। এতে ছুটির সময়ে এবং যারা বিদেশ সফর পছন্দ করেন তাদের জন্য বিষয়টি সহজ ও সস্তা হয়ে যাবে। ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির প্রধান নির্বাহী ড. জেনি হ্যারিস বলেছেন, যেসব মানুষের ল্যাটারাল ফ্লো টেস্টে করোনা পজেটিভ ধরা পড়বে তাদেরকে এনএইচএসের অধীনে পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্য দিয়ে আমরা নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিষয়ে নজরদারি অব্যাহত রাখতে পারি।
লাল তালিকায় নেই এমন দেশগুলোর পূর্ণ ডোজ টিকা নিয়েছেন যেসব মানুষ, তারা ৪ঠা অক্টোবর থেকে বৃটেন সফর করতে পারছেন। যাত্রা শুরুর আগে তাদেরকে এ জন্য করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করাতে হচ্ছে না। তবে যেসব মানুষ টিকা নেননি, হোন তিনি ১৮ বছর বয়সী বা তারও বেশি, তাকে বৃটেন পৌঁছার পর এখনও ১০ দিনের জন্য স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে থাকার নিয়ম বিদ্যমান।
ওদিকে টানা ১১ দিনের মতো বৃটেনে নতুন করে দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজারের ওপরে। এ অবস্থায় সরকারের ওপর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন এক অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জনগণকে বুস্টার ডোজ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছেন বার বার। শনিবার সেখানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৮৫।