এদেশের নারীরা অনেক সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করছেন উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, সকল ক্ষেত্রেই নারীরা সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন। তারা এখন সেনাবাহিনী, নেভি, পুলিশসহ দেশের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে কাজ করছেন। তারা আজকে উদ্যোক্তা হিসেবেও অনেক ভূমিকা রাখছেন। রোববার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশান এলাকায় লেকশোর হোটেলে বিউটি সার্ভিস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএসওএবি) প্রথম বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নারীদের সহযোগিতার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনার কথা বললেও বিভিন্ন কারণে তাদের এই প্রণোদনা দেওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। কারণ, ব্যাংকগুলো জামানত চায়, বিভিন্ন কাগজপত্র চায় যা অনেক সময়ই নারীরা দেখাতে পারেন না। আর তা সংগ্রহ করাও অনেক সময় তাদের পক্ষে সহজ হয় না। আর প্রাইভেট ব্যাংক এখনো এই খাতকে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে না। তারা বিষয়টিকে এখনো গুরুত্ব দিতে পারেনি।
প্রশিক্ষণের বিষয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশে অনেক বেশি দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন। নারীদের মধ্য থেকে অবশ্যই দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠবে। এসময় বিউটিফিকেশন সংগঠনের নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা নিজেরাও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করতে পারেন। নিজেরা সার্টিফিকেশন করে একটা কাঠামো তৈরি করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি কানিজ আলমাস খান বলেন, আজকে বিউটি সার্ভিসকে শিল্প খাতে উন্নীত করা এত সহজ ছিল না। অনেক চড়াই উতরাই পার হয়ে আজকে এই পর্যায়ে এসেছে। এটি বিলাসিতা থেকে এখন আবশ্যিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কাজে সংশ্লিষ্ট বেশিরভাগই নারী। এতে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী ও উপজাতিদের। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে ছিল হেয়ার কাট ডেমনস্ট্রেশন। মধ্যাহ্নভোজের পর স্মারক প্রদান, সঙ্গীতানুষ্ঠান, ফ্যাশন শো ও র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী, এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মাসুদুর রহমান এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান দুলাল কৃষ্ণ সাহা। সম্মেলনে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট আরও ২০০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, বিএসওএবি হচ্ছে সৌন্দর্য সেবা খাতে সরকার অনুমোদিত একটি সংঘ। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার সৌন্দর্য খাতকে শিল্প হিসেবে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছে।