স্টাফ রিপোর্টার : মিয়ানমারে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এবার বিক্ষোভকারীরা ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছেন। দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে বেশ কিছু গাড়ি সড়কে ফেলে অবরোধ করেন। এটি বিক্ষোভের নতুন ধরন। বুধবার সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে হাজার হাজার নাগরিক বিক্ষোভে অংশ নেন। তারা সেনাবাহিনীর ভোট জালিয়াতির দাবি প্রত্যাখ্যান বিক্ষোভে অংশ নেন। নভেম্বরে হওয়া নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির কাউন্সিলর ও নেত্রী অংসান সু চিকে আটক করে।
এদিকে এদিন সকালে স্বেচ্ছায় সড়ক অবরোধের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালায় বিক্ষোভকারীরা। সরকারি চাকরিজীবীরা যাতে কর্মস্থলে যোগ দিতে না পারেন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর চলাচল ব্যাহত করাই এর উদ্দেশ্য ছিল। ‘রোড ব্লকিং ডে’ শিরোনাম দিয়ে অনেকেই সড়কে যানবাহন ফেলে রাখার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। এসব ছবিতে দেখা গেছে, বনেট ও বুট খুলে ইয়াঙ্গুনের সড়কগুলোতে গাড়ি পার্ক করে রাখা হয়েছে। এর ফলে ওই সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
অনেকে নিজেদের যান দিয়ে অবরোধে যোগ দেন। আবার কেউ রিকশা সড়কে ফেলে অবরোধে সমর্থন জানান। ইয়াঙ্গুনের স্টপেজগুলোতে অনেকগুলো সরকারি বাস থেমে থাকতে দেখা গেছে। এই বাস চালকরাও আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন।
জনসমুদ্রের সামনে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নির্বাচিত সদস্য সিথু মং বলেন, ‘তারা যে চার কোটির ঘোষণা দিয়েছিল, আমরা তাদের মধ্যে নেই সেটিই আমরা এখানে দেখাচ্ছি।’ সূ চি’র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দেশটির নভেম্বরের নির্বাচনে ভূমিধস জয় পায়। সেনাবাহিনীর দাবি, এনএলডি জালিয়াতি করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, নির্বাচনে কারচুপির কোনো প্রমাণ নেই। কিন্তু সামরিক বাহিনী জালিয়াতি করা ভোট ফেরত দেওয়ার দাবি জানায়।
বর্তমানে দেশটির কমান্ডার ইন চিফ মিং অং হ্ল্যাং ক্ষমতায় আছেন। সূ চি গৃহবন্দি। প্রথমে সূ চির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ওয়াকিটকি ব্যবহারের অভিযোগে মামলা হয়। পরে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ভঙ্গের দায়ে দ্বিতীয় দফায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। সবশেষ মামলার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।