আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুইজনকে।
এদিকে, সংঘর্ষের ঘটনায় গঠন করা হয়েছে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এর জেরে শনিবার সকালে আবারও দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে মাহফুজুল হক, নাইমুল ইসলাম ও আকিব হোসেন নামে তিনজন আহত হন। তিনজন আহত হওয়ার পর ছাত্রাবাস ও কলেজ অনদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
পাশাপাশি সন্ধ্যার মধ্যে হোস্টেল ছেড়ে যেতে ছাত্রদের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ অনুযায়ী সন্ধ্যায় আবাসিক হোস্টেল ছেড়ে যান সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এদিকে, হঠাৎ হোস্টেল ছেড়ে যেতে বলায় বিপাকে পড়েন অনেক শিক্ষার্থী। বিশেষ করে যাদের গ্রামে বাড়ি তারা ভোগান্তিতে পড়েন।
ছাত্রলীগের দুইপক্ষের মধ্যে একপক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। অন্য পক্ষ নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।