চিত্রনায়িকা পরীমণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুর বিষয়ে ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় এ নায়িকাকে তিন দফায় সাত দিন রিমান্ডে নেওয়া হয়।
রবিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই দুই বিচারক নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।
এই দুই বিচারক হলেন- ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম।
এর আগে আলোচিত চিত্রনায়িকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরে দুই বিচারকের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এ ছাড়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী গোলাম মোস্তাফাকেও ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। দুই দফা ব্যাখ্যা দেওয়া হলেও সেই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়নি হাইকোর্ট।
গত ৪ আগস্ট বনানীর বাসা থেকে ‘বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য’সহ পরীমণিকে আটক করে র্যাব। পরে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। ওই মামলায় তাকে তিন দফায় যথাক্রমে চার দিন, দুই দিন ও একদিনসহ মোট সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর মাঝে একাধিকার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।
পরে মামলায় জামিন আবেদনের শুনানির দিন দেরিতে নির্ধারণ করা নিয়ে জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন পরীমণি। হাইকোর্ট রুল দেন। পরে জজ আদালত পরীমণির জামিন আবেদনের ওপর শুনানির তারিখ এগিয়ে আনেন। গত ৩১ আগস্ট তাকে জামিন দেন। পরদিন পরীমণি কারামুক্তি পান।
হাইকোর্টে পরীমণির আবেদনের শুনানিতে তাকে দফায় দফায় রিমান্ড নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুরের ব্যাপারে দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেন।