ঋণখেলাপি ব্যক্তির নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে ঋণখেলাপি মহিউদ্দিন সিদ্দিকীর রিট আবেদনও হাইকোর্টের কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
আদালতে মহিউদ্দিন সিদ্দিকীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রেজাউল হোসাইন মোরশেদ। তিনি শুনানিতে বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার কারণে মহিউদ্দিন সিদ্দিকী নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। এতে তার আইনি অধিকার খর্ব হচ্ছে।
তখন আদালত বলেন, ঋণখেলাপির কোনো আইনি অধিকার থাকতে পারে না। নির্বাচনে অংশগ্রহণে যখন এতই ইচ্ছা, তাহলে নির্ধারিত সময়ের আইনে ঋণ পরিশোধ করা উচিত ছিল।
আদালত বলেন, ছোট হোক বড় হোক আইন সবার জন্য সমান। একজনের জন্য আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিতে পারি না। পরে আদালত মহিউদ্দিন সিদ্দিকীর রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেন।
আগামী ১১ নভেম্বর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন। এই নির্বাচনে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন মহিউদ্দিন সিদ্দিকী। কিন্তু ঋণখেলাপি হওয়ায় ২৫ অক্টোবর তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন জেলা নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচনী আপিল কর্তৃপক্ষের কার্যালয়। পরে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন মহিউদ্দিন সিদ্দিকী।