ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। বিশেষ করে চাকরি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি চরমে। রাস্তায় পাবলিক বাস ও লেগুনা না থাকলেও রাইড শেয়ারিং, সিএনজি এবং রিকশা রয়েছে। বাধ্য হয়ে এসব পরিবহন কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। কেউ কেউ গাড়ি না পেয়ে বাসায় ফিরে যেতেও দেখা যায়।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকালে ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর সড়কে ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় আমির নামের একজনের সঙ্গে। তিনি বলেন, “গাজীপুর যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছি। প্রায় ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে আছি। রাস্তায় গাড়ি নেই। বাসায় ফিরে যাওয়া ছাড়া কিছু করার নাই।”
এদিকে, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় রাস্তায় বেরিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। রাজধানীর ঢাকাতে বেশকিছু সরকারি চাকরির পরীক্ষা রয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাতটি সরকারি কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সড়কে পরিবহন শঙ্কটে ভোগান্তিতে পড়েছে এসব পরীক্ষার্থী।
বুধবার (৪ নভেম্বর) রাত ১০টায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য প্রতি লিটারে ভোক্তা পর্যায়ে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে কেরোসিন ও ডিজেল ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকায় নির্ধারণ হয়। এদিন মধ্যরাত থেকে এটি কার্যকর করা হয়েছে।
গতকাল পরিবহন খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠক থেকে ভাড়া বাড়ানোর সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি হাজী মো. তোফাজ্জল হোসেন মজুমদার বলেন, “জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে সকল কিছুর দাম বাড়বে। আমরা এটি চাই না। দাম কমানোর দাবিতে সারা দেশে সকাল থেকে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান বন্ধ রয়েছে। দাম না কমানো পর্যন্ত ধর্মঘট চলতে থাকবে।”