জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে সারাদেশে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিকল্প পথ হিসেবে জরুরি প্রয়োজনে ঢাকার বাইরে যেতে অনেকে কমলাপুর রেল স্টেশনে ভিড় করেছেন। কেউ আবার রাজধানীতে কাজে এসে আটকা পড়েছেন। নিরুপায় হয়ে ট্রেনে যাবেন ভেবেই স্টেশনে আসেন। সব মিলিয়ে শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে বেড়েছে যাত্রীদের চাপ।
স্টেশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে ট্রেনের টিকিট পাননি। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। বেশি বিপাকে পড়েছেন চাকরির পরীক্ষা দিতে রাজধানীর বাইরে থেকে আসা পরীক্ষার্থীরা। বাড়ি ফিরবেন কিন্তু টিকেট পাচ্ছেন না।
ভৈরব থেকে চাকরির পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তারেক। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় এসে এক বন্ধুর মেসে ছিলাম। আজ চাকরি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি যাব ভেবেছিলাম। কিন্তু বাস চলছে না। দুপুর ১টার দিকে স্টেশনে এসেও বিকেল ৪টা পর্যন্ত ট্রেনের টিকেট পাইনি। দীর্ঘ লাইন, লাইনে থেকেই একটি ট্রেন মিস করলাম। জানি না আজ বাড়ি যেতে পারবো কিনা।
জরুরি প্রয়োজনে জামালপুর যাবেন মোবারক হোসেন। টিকেটের লাইনে দাঁড়িয়েও তিনি ভিড়ের কারণে টিকেট পাননি। বাধ্য হয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাসার দিকে হাঁটা দেন।
এদিকে যারা টিকিট পাচ্ছিলেন তাদের বেশ উচ্ছ্বসিত হতে দেখা গেছে। তেমনি একজন রাজশাহীর খোকন। এই শিক্ষার্থী জানান, অনেক কষ্টে তিনি এবং তার বন্ধুর জন্য দুটি টিকেট ব্যবস্থা করতে পেরেছেন।
শত শত যাত্রী লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট পাননি। কেউ হতাশ হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। বেশি সমস্যায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। ছুটির দিন থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা থাকায় রাজধানীর বাইরে থেকে অনেক শিক্ষার্থী ঢাকায় আসেন। কিন্তু ধর্মঘট ডাকায় এখন ফেরার পথে পড়েছেন ভোগান্তিতে।
এছাড়া করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্যবিধির কারণে দাঁড়িয়ে যাওয়া যাত্রীদের টিকিট দেওয়া হয় না। এসব যাত্রীর বেশির ভাগই বাসে যেতেন। কিন্তু বাস চলাচল বন্ধ থাকায় তারাও রেল স্টেশনে এসেছিলেন টিকিটের জন্য। তাই ছুটির দিনেও বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।