স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘সমবায় ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী এবং কার্যকর করতে হলে এর দুর্বলতা ও অসামঞ্জস্যতা খুঁজে বের করতে হবে। আইনে যদি সংশোধনী আনার প্রয়োজন হয় সেটাও করতে হবে। সেই সঙ্গে সমবায় ব্যবস্থাপনাকে মর্যাদার আসনে নিতে হলে দেশের সকল সমবায় সমিতিগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।’
শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সমবায় অধিদপ্তর আয়োজিত ৫০তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২১ এবং জাতীয় সমবায় পুরস্কার-২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমবায় ব্যবস্থাপনার সুফল কাজে লাগিয়ে পুরো দেশের পরিবর্তন আনা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু সমবায় ব্যবস্থাপনায় নয় সকল প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তি পর্যায়েও মানুষের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকা উচিত। কারণ এটা করা হলে কাজের পরিধি ও মান বাড়বে। আপনি কোনো কাজের জন্য কাউকে ছেড়ে দিবেন, জবাবদিহিতার আওতায় আনবেন না তাহলে লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, গ্রামীণ অবকাঠামো পরিকল্পিতভাবে নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দর্শন ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ সহ অনেক মেগা প্রকল্প ও পদক্ষেপ নিয়েছেন। যার বেশিরভাগেরই বাস্তবায়নের কাজ চলছে। শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিতে অবকাঠামো ও যোগাযোগ উন্নয়নে পরিকল্পনা ভিত্তিক কাজ চলছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন গ্রাম ভিত্তিক সমবায়ের মাধ্যমে সম্মিলিতি উদ্যোগকে জনগণের উন্নয়নে কাজে লাগাতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অনুরূপভাবে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের জীবনমান উন্নয়নে সমবায়কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।
জাতীয় সমবায় দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’। এবছর ১০টি ক্যাটাগরিতে ৮টি সমবায় সমিতি এবং দুই জনকে ব্যক্তি পর্যায়ে জাতীয় সমবায় পুরস্কার-২০২০ প্রদান করা হয়।