জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা এবং জন-জীবনে দূর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। সবার সামনে এ বিষয়টি তুলে ধরে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি সরকার কতৃক কেরোসিন ও ডিজেল লিটার প্রতি ১৫ টাকা বা শতকরা ২৩% দাম বৃদ্ধি ও এই বৎসরে গত এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত পাঁচবার এলপিজির দাম বাড়ানোর সামগ্রিক প্রভাবে কৃষকসহ সমগ্র জন-জীবন এবং অর্থনীতির ওপরে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সেই বিষয়ে ভার্চুয়াল এই সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, নীতি নির্ধারণী ফোরাম মনে করে, করোনাকালে চাকরিচ্যুতি, আয় হ্রাস এবং জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে দরিদ্রের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং জন-জীবনে দূর্ভোগ আরও বাড়বে সভায়। মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপিসহ সকল অঙ্গ-সংগঠন কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয় এবং অবিলম্বে ডিজেল, কেরোসিন ও এলপিজি গ্যাসের দাম কমিয়ে আনার দাবী জানানো হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আইজিডি এবং পিপিআরসি যৌথ জরিপে দেশে করোনাকালে ৩ কোটি ২৪ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হওয়ায় এবং চলতি অর্থ বৎসরে মার্চ মাসে নতুন দরিদ্র ২ কোটি ৪৫ লাখের সাথে ৭৯ লাখ মানুষ যুক্ত হওয়ায় সভায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে, সরকারের উদাসীনতা, অযোগ্যতা ও ভ্রান্তনীতির কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অপরিকল্পিত করোনা বিধি নিষেধের কারণে দরিদ্রের সংখ্যা আরও বেড়েছে। করোনা কালে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কোন রকম আর্থিক প্রণোদনা না দেওয়া এবং কল-কারখানায় শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে প্রণোদনা না দেওয়া এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে খাদ্য ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান না করাতেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। সভা অবিলম্বে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদি, চাল, ডাল, তেল, লবন সামগ্রীর মূল্য হ্রাস করার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারকে আহ্বান জানায়।