ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে বিজয়ের জন্য প্রার্থীর অতি আবেগী হয়ে যাওয়ার কারণেই এসব নির্বাচনে সহিংসতা হয়ে বলে মনে করছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, একটি কথা মনে রাখতে হবে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কিন্তু ঘরে ঘরে প্রতিযোগিতা হয়, পাড়ায় পাড়ায় প্রতিযোগিতা হয়। আপনারা দেখবেন একটি পাড়া আরেকটি পাড়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চায়। এই প্রভাব বিস্তার করার একটি প্রতিযোগিতা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে থাকে। প্রার্থী যারা তারা কিন্তু অতি আবেগী হয়ে যায় বিজয়ের জন্য। এসব কারণেই কিন্তু এই নির্বাচনে সহিংসতা হয়। তারপরও বলবো, যে ঘটনাগুলো ঘটেছে তার জন্য নির্বাচন কমিশন মনে করে এই ঘটনাগুলো না ঘটলে আরও ভালো হতো। আমরা মনে করি নেক্সট টাইম আরও ভালো ভোট হবে।
কত শতাংশ ভোট পড়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কত শতাংশ ভোট পড়েছে সেটি এই মুহূর্তে বলা কঠিন, যেহেতু ভোট কাউন্ট হচ্ছে। আমরা এ পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি তাতে ৬৫ থেকে ৭০ ভাগ ভোট কাস্ট হয়েছে। সামনের ধাপের নির্বাচনে হতাহত কমাতে নতুন কোনো চিন্তা করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজ যে ভোট হয়েছে এটি বসে এনালাইসিস করবো। এনালাইসিস করে দেখবো আর কোন কোন জায়গায় বেশি আমাদের জোর দিতে হবে, যাতে ভোট আরও ভালো হয়।
গতকাল চতুর্থ ধাপের ভোটের তফসিল হয়েছে, পরবর্তী ধাপের ভোট নিয়ে আবার কমিশনের বৈঠক হবে বলেও জানান ইসি সচিব।এর আগে আজ দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনী সহিংসতায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। নিহতদের মধ্যে নরসিংদীতে তিনজন, কক্সবাজারে একজন, চট্টগ্রামে একজন ও কুমিল্লায় একজন। সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়।