শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক ড. আন্স ক্লুজু বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ইউরোপজুড়ে কড়াকড়ি আরোপ না করা হলে আগামী বসন্ত নাগাদ আরও পাঁচ লাখ মানুষ করোনার সংক্রমণে মারা যেতে পারেন। গত সপ্তাহে করোনার টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করে আইন পাস করেছে অস্ট্রিয়া। ফেব্রুয়ারি থেকে আইনটি কার্যকরের কথা রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ জার্মানির রাজনীতিবিদেরাও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করছেন।
লকডাউন কার্যকর হওয়ার আগে এর বিরোধিতা করে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বিক্ষোভ করেছেন হাজারো মানুষ। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ট্রিয়ার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর তুলনায় অস্ট্রিয়ায় টিকা নেওয়ার এ হার অনেক কম। নভেম্বর থেকে দেশটিতে টিকা দেওয়ার সংখ্যা উল্লেখজনকভাবে বেড়েছে। তবে এরপরও কারও কারও মধ্যে টিকা নেওয়ার ব্যাপারে দ্বিধা রয়েছে। অস্ট্রিয়া ছাড়াও ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশে করোনার বিধিনিষেধের বিরোধিতায় কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে।
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের প্রাণকেন্দ্রে বিক্ষোভ করেছেন হাজারো মানুষ। বিভিন্ন ক্যাফে, রেস্তোরাঁ ও বিনোদনকেন্দ্রে টিকা পাস ছাড়া ঢুকতে না দেওয়ার নিয়মের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন তাঁরা। ব্রাসেলসের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষও হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। তবে তাঁদের মধ্য থেকে কয়েকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ও পটকা ছুড়ে মারলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের থামাতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ছুড়েছে পুলিশ।