শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার পর চট্টগ্রামেও বাসে হাফ ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। হাফ ভাড়ার এ সিদ্ধান্ত আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। আজ রোববার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। তিনি বলেন, ‘দেশের অন্য শহরে যদি সিটি সার্ভিস থাকে সেখানেও হাফ ভাড়া নেওয়া হবে। তবে আন্তঃজেলা পর্যায়ে হাফ ভাড়া কার্যকর হবে না।’
ঢাকার মতো হাফ ভাড়া কার্যকরে চট্টগ্রামের বাস মালিক সমিতিও শর্ত আরোপ করছে। এ শর্তগুলোও প্রায় একই রকম। ভ্রমণকালে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাসে ছাত্রছাত্রীদের অবশ্যই নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বৈধ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে, প্রয়োজনে প্রদর্শন করতে হবে। বাসে চলাচলের ক্ষেত্রে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়ার সুবিধা পাবেন। ছুটির দিন হাফ ভাড়া কার্যকর হবে না। হাফ ভাড়া শুধু চট্টগ্রাম মহানগরে কার্যকর থাকবে।
উল্লেখ্য, সরকার বাসের ভাড়া বাড়ানোর পর থেকে শিক্ষার্থীরা আগের মতো অর্ধেক ভাড়া দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। প্রতিদিনই তারা বিভিন্ন এলাকায় সড়ক আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। গত ২৪ নভেম্বর সিটি করপোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় নটরডেম কলেজের এক শিক্ষার্থী এবং ২৯ নভেম্বর রাতে রামপুরায় বাসের চাপায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ আরও বাড়ে।
এরপর ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতি গত মঙ্গলবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীদের ‘হাফ’ ভাড়ার দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। কিন্তু বিকেলে তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন ৯ দফা দাবিতে আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের একটি দল। তাদের এ দাবির মধ্যেই সব মহানগরে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।