ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন। ইউক্রেন সীমান্তের কাছে ৯৪ হাজারেরও বেশি রুশ সেনা মোতায়েনের পর উত্তেজনা বিরাজ করছে দেশ দুটির মধ্যে। এর মাঝেই এ আলোচনার সিদ্ধান্তের কথা জানা গেলো। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, যে রাশিয়া ইউক্রেনে ‘বড় আকারে’ হামলার পরিকল্পনা করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন প্রমাণ রয়েছে। তবে তিনি আরও বলেন, পুতিন হামলার চূড়ান্ত সীদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কি না তা স্পষ্ট নয়। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রাশিয়ান মিলিটারি বাহিনীর কার্যক্রমের বিষয়টি অবহিত করবেন। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখন্ডতা বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথাও তুলে ধরবেন বাইডেন। ইউক্রেন অভিযোগ করছে যে, ৯৪ হাজার রুশ সেনা অবস্থান নিয়েছে সীমান্তে। তাদের সাঁজোয়া যান, যুদ্ধের ইলেক্ট্রিক সরঞ্জামাদি দেখা গেছে। যদিও মস্কোর পাল্টা অভিযোগ, ইউক্রেন তার নিজস্ব সেনাবাহিনী তৈরি করেছে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ বলেন, মস্কো জানুয়ারির শেষে সামরিক হামলার পরিকল্পনা করে থাকতে পারে।
২০১৪ সালে সামরিক অভিযান চালিয়ে ক্রিমিয়া দখল করে নেয় রাশিয়া। এরপরে এটিই সবচেয়ে বড় সামরিক বহর বলে অভিযোগ করছে ইউক্রেন।