বঙ্গবন্ধু বায়োপিকের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে এবং ২০২২ সালের মার্চ মাসে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মভিত্তিক এ চলচ্চিত্র নির্মাণের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণকালে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা জানান।
বায়োপিকের পরিচালক শ্যাম বেনেগাল, তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, বায়োপিকের চিত্রনাট্যকার অতুল তেওয়ারি, কাস্টিং ডিরেক্টর বাহারউদ্দিন খেলন, অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বায়োপিকের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ঢাকায় ফাইনাল রাউন্ডের শুটিংয়ের কাজ চলছে। এরপর মুম্বাইতে পোস্ট প্রোডাকশনের কিছু কাজ হবে। আমি মুভির পরিচালক শ্যাম বেনেগাল এবং তার টিমের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা ঢাকায় শুটিংয়ের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এখানে সিডিউল মতো কাজ করতে পারছেন, যে সমস্ত সহযোগিতা দরকার তা পাচ্ছেন। আগামী বছরের মার্চে এটি রিলিজ করতে পারবেন বলে তারা আশা করছেন।’
বঙ্গবন্ধু মুভি আরও এক বছর আগে রিলিজ করার পরিকল্পনা ছিল কিন্তু করোনার কারণে হয়নি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব পরিস্থিতি ঠিক থাকলে আগামী বছরের মার্চে ছবিটি মুক্তি পেতে পারে।’
ভারত এবং বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু বায়োপিক একটি মাইলস্টোন মুভি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শুধু নতুন প্রজন্ম নয়, বঙ্গবন্ধুর অনেক বিষয় আমরা নিজেরাও পড়েছি, কিন্তু ছবিতে দেখা আর পড়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য। সুতরাং এ ছবি মুক্তি পেলে বঙ্গবন্ধুকে এবং বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম, ত্যাগ, স্বপ্ন, স্বপ্নের বাস্তবায়নগুলো মানুষ বাস্তবরূপে দেখতে পাবে। আমাদের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে, নতুন প্রজন্মকে ইতিহাসের ঠিক তথ্য জানানোর ক্ষেত্রে চলচ্চিত্রটি বিরাট ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি।’