দুই দিন অতিবাহিত হলেও ভোলার চরফ্যাশনের ঢালচরের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মোহনার উত্তাল মেঘনায় ২১ জেলে নিয়ে ডুবে যাওয়া আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের কামাল খন্দকারের মালিকানাধীন ‘মা শামসুন্নাহার’ নামের মাছ ধরার ট্রলারটি। ডুবে যাওয়া ট্রলারটির এক জেলে উদ্ধার হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জেলে। নিখোঁজ জেলেদের বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে। ঘটনার সংবাদের পর নিখোঁজদের পরিবাওে নেমে আসে শোকের ছায়া।
আব্দুল্লাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আল এমরান প্রিন্স জানান, বৃহস্পতিবার ২১ জেলে নিয়ে কামাল খন্দকারের মালিকানাধীন ‘মা শামসুন্নাহার’ নামের মাছ ধরার ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায়। রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢালচর থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণের বঙ্গোপসাগরে চট্টগ্রামের একটি মাছ ধরার ট্রলিং জাহাজ তাদের ট্রলারকে ধাক্কা দিলে ট্রলারটি ডুবে যায়। পরবর্তীতে বরগুনার পাথরঘাটা একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যাওয়া ট্রলারের জেলেদের মধ্যে হাফিজ নামের এক জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেন। বাকি ২০ জেলের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা জানা যায়নি।
নিখোঁজ জেলারা হলেন- বাচ্ছু মাঝি, আলামিন মাঝি, ফারুক হাওলাদার, জাবেদ, খালেক, ইউছুফ মৌলভী, জসিম জমাদার, রফিক, মাসুদ, বাচ্চু, হারুন মেস্তরী, নুরুল ইসলাম, নুরে আলম, বাসার, সুমন, সাহিন, দিন ইসলাম, নাগর মাঝি, জলিল।
সিনিয়র উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন- জলেদের সন্ধানে কোস্টগার্ড কাজ করছে। ইউএনও নিখোঁজ জেলে পরিবারের কাছে গিয়ে তাদের শান্তনা দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান ২০ জেলে নিখোঁজ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন- ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধারে কাজ করছে কোষ্টগার্ড। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী জাহাজের বিরুদ্ধে মামলা হবে। জেলা প্রশাসকের তরফ থেকে কোন সহযোগিতা এলে নিখোঁজ জেলে পরিবারের মাঝে প্রদান করা হবে।