বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমাদেরকে আইন দেখাচ্ছেন। যে আইন দেখাচ্ছেন সেই আইনের ৪০১ ধারায় পরিষ্কার বলা আছে, সরকারই পারে তাঁকে (খালেদা জিয়াকে) উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে। এখানে আইন কোনো বাধা না।’
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত এক সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া হচ্ছেন হ্যামিলনের বাঁশি বাদক। তিনি বেরিয়ে এলে গণতন্ত্রের সংগ্রামের জন্য লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসবে। সেজন্যই তাঁকে আটক করে রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়া আজ এত অসুস্থ যে তা আপনাদের কাছে বর্ণনা করতে পারব না। তাঁর চিকিৎসকদের প্রেস কনফারেন্স আপনারা শুনেছেন। তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাঁর যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে উন্নত চিকিৎসা। ডাক্তাররা পরিষ্কার করে বলেছেন, আমরা যা কিছু করা সম্ভব তা করেছি। আমাদের কাছে সেই উন্নত প্রযুক্তি নেই যা দিয়ে খালেদা জিয়াকে পরবর্তীতে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও গণতন্ত্রের জন্য খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কেন আটক করে রাখা হয়েছে সেটি আমার চেয়ে আপনারা অনেক ভালো জানেন। তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা সম্পূর্ণ সাজানো। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে প্রতিহিংসার বশে তাঁকে সাজা দিয়ে আটক করা হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, আওয়ামী লীগ একাত্তরের পর জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া শুরু করেছিল। শুধু বিচ্ছিন্ন হয়নি, তারা জনগণের ওপর নিপীড়ন করেছে, নির্যাতন করেছে। সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করে দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা সেগুলো ভুলে যাইনি। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং সেখান থেকে এখন পর্যন্ত সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেখানে আজকে কেউ কথা বলতে পারে না। আজকে কারও গণতান্ত্রিক অধিকার নেই, বাকস্বাধীনতা নেই। আজকের বিচার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ দলীয়করণ করার চেষ্টা করা হয়েছে।