ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এক গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় অভিনয়য়শিল্পী তাহসান রহমান খান, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াকে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করতে পারে পুলিশ।
শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় ৪ ডিসেম্বর প্রতারণার এই মামলাটি করেন ইভ্যালির গ্রাহক সাদ স্যাম রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়।
আজ দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাজ্জাদুর রহমান এ কথা বলেন।
ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘মামলায় বাংলাদেশের কয়েকজন সেলিব্রিটির নাম আছে। এর মধ্যে আছেন তাহসান, শবনম ফারিয়া ও মিথিলা। তারা এ মামলার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর আসামি। তারা আমাদের নজরদারিতে আছেন। যেকোনো সময় তারা গ্রেপ্তার হতে পারেন।’
অন্য আসামিরা হলেন গ্রেপ্তার হওয়া ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল, তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, আকাশ, আরিফ, তাহের এবং মো. আবু তাইশ কায়েস।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়া ইভ্যালির বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। তাদের উপস্থিতি ও বিভিন্ন প্রমোশনাল কথাবার্তার কারণে আস্থা রেখে বিনিয়োগ করেন সাদ স্যাম রহমান। এ সব তারকার কারণে মামলার বাদী প্রতারিত হয়েছেন। প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ ও সহায়তা করা হয়েছে। আত্মসাৎকৃত টাকার পরিমাণ ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা। যা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. রাজিব হাসান বলেন, ‘মামলায় ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও এমডি মোহাম্মদ রাসেলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।’
এর আগে ফারিয়া জানান, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে ইভ্যালি ছেড়েছেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে বেতনের বড় একটি অঙ্ক পাওনা রয়েছে তার।
অন্যদিকে ইভ্যালির অনলাইন শো’র মাধ্যমে বিচ্ছেদের পর প্রথমবারের মতো একই অনুষ্ঠানে কথা বলেন সাবেক দম্পতি তাহসান-মিথিলা।