সংস্কারকাজের জন্য ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতি রাতে ৮ ঘণ্টা উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে। এই পরিস্থিতি চলবে আগামী ছয় মাস।
এমন সিদ্ধান্তের কারণে আগেই ওই সময়ের ফ্লাইট সময়সূচি (শিডিউল) পুনর্বিন্যাস করা হয়। এতে প্রথম দিনই বিমানবন্দরে যাত্রী ব্যবস্থাপনায় বাড়তি চাপ ছিল। মালামাল নেওয়ার ট্রলিরও সংকট দেখা গেছে।
এক মাস আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানিয়েছিল, সংস্কারকাজের জন্য ১০ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) থেকে ২০২২ সালে ১০ জুন পর্যন্ত বিমানবন্দরে রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব ধরনের উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ থাকবে। বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে নির্মাণকাজের অংশ হিসেবে হাইস্পিড কানেক্টিং ট্যাক্সিওয়ের নির্মাণকাজ চলবে। পাশাপাশি একই সময়ে লাইটিং সেক্টরের কাজ চলবে। তবে বিমানবন্দরের অন্যান্য কার্যক্রম চলবে। এ সময় জরুরি অবতরণের প্রয়োজন হলে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করা যাবে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতিদিন ২৭টি এয়ারলাইনসের ৮৫ থেকে ৯০টি ফ্লাইট শাহজালাল বিমানবন্দরে ওঠানামা করে। এসব ফ্লাইটে গড়ে ১০ হাজার যাত্রী অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন।
এয়ারলাইনসগুলো বলছে, ৮ ঘণ্টা ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকায় রাত ও ভোরের সময়সূচি আগে-পরে করে দিনে আনা হয়েছে। এতে যাত্রী ও আনুষঙ্গিক ব্যবস্থাপনায় চাপ পড়বে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিমানবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, টার্মিনালের বাইরে আগমন ও বহির্গমন—সবখানেই যাত্রী ও স্বজনদের ভিড়। সন্ধ্যার দিকে এই ভিড় আরও বাড়ে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ-উল আহসান বলেন, বেবিচকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাত ও ভোরের ফ্লাইটগুলো দিনের অন্যান্য সময়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। এতে প্রতি ঘণ্টায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় দুটি ফ্লাইট বাড়তি পরিচালনা করা হচ্ছে।
অবশ্য এমন পরিস্থিতিতে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে কোনো সমস্যা হবে না জানিয়ে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক জানান, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস আগেও এর চেয়ে বেশি চাপ সামাল দিয়েছে।