রাজশাহী মহানগরীর মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইফতেখার আল-আমিনের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন তার স্ত্রী। এ ঘটনার পর ইফতেখারকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার স্ত্রী রুপসী দেওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে রাজশাহী থেকে তাকে এ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে
এদিকে গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার ঘটনায় ভুক্তভোগী পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী রুপসী দেওয়ানের বিরুদ্ধে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে ভুক্তভোগী পুলিশ কর্মকর্তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকুর রহমান বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রুপসী দেওয়ানকে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ভুক্তভোগী পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী রুপসী দেওয়ান পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন এবং বাসার ময়লার ঝুড়ি থেকে সেটি বের করে দেন। তার দাবি, তার স্বামী একাধিক নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। সে ক্ষোভ থেকে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
ওসি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রুপসী দেওয়ান বোয়ালিয়া থানায় পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর ভুক্তভোগী পুলিশ কর্মকর্তার বাবা বাদী হয়ে তার ছেলের স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলা তাকে শুক্রবার সকাল ৯টার পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে এসআই ইফতেখার আল-আমিন মহানগরীর সাগরপাড়া এলাকায় তার ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্ত্রী ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করে। সেখান থেকে তাকে নেয়া হয় হাসপাতালের ২ নম্বর ওয়ার্ডে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাতেই ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে