নওগাঁর সাপাহার উপজেলার শিরন্টি ও গোয়ালা ভুমি উন্নয়ন কর আদায় কার্যালয় (ক্যাম্প) ভুমি অফিসের তালায় প্রায় ২ বছর ধরে খোলা হয়নি। তবে ভবনটি পরিত্যাক্ত নয় বলে জানা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কার্যালয়টির সামনে কিছু জ্বালানী খড়ি ও কাপড় প্রতিনিয়ত শুকাতে দেয়া হয়। তালায় মরিচা ধরেছে। এমনকি বহুদিন ধরে ঝাড়া-মোছার কাজও হয়নি। জানালা-দরজাতেও লেগে রয়েছে ময়লা আবর্জনা। বিশেষ সাক্ষাৎকারে উপজেলা মরাডাঙ্গা গ্রামের গোলাম মোমÍফা বলেন, ক্যাম্পটি বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছি আমরা এলাকার জনসাধারণ। সেখানে গেলে বুঝার উপায় নেই এটি কর আদায়ের অফিস না কাহারো বসতবাড়ি। দেখে মনে হবে একটি পরিত্যাক্ত ভবন।
উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, জনবল সংকটের কারণে সেখানে প্রায় দুই বছর যাওয়া হয়নি। তবে নির্বাচনের পর সেখানে অফিস করব। জন ভোগান্তির বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে ভুমি কর অফিস থাকার কথা। কিন্তু সাপাহারে ৬ ইউনিয়নে মাত্র ৩ টি ভুমি অফিস রয়েছে। এরমধ্যেই আবার জনবল সংকট। এই কারণে কিছুটা মিসম্যানেজমেন্ট হতে পারে। আমি ওটার খবর নিবো।
তিনি আরো বলেন, এ ধরনের ক্যাম্পে রেগুলার কোনো স্টাফ নিয়োগ থাকে না। লোক নিয়োগ থাকে ইউনিয়ন ভুমি অফিসে। গোয়ালা ও শিরন্টীর (নিশ্চিন্তপুর) ভুমি অফিসে তিনজন স্টাফ রয়েছেন। দুইজন উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তা আর একজন অফিস সহায়ক। এই ক্যাম্পটি উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তার কর আদায়ের স্বার্থে সপ্তাহে একদিন বা দুইদিন অথবা দিনের কিছু সময় খোলায় বিষয়টি বিবেচ্য। মানুষের উপকারের জন্য এটি নির্মিত।
দুই বছরের বেশি ক্যাম্পটি বন্ধ থাকার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, হোন্ডিং এন্ট্রির কাজ এবং জমি ডিজিটালাইজেশনের কাজ চলছে। তবে ঘরটি পরিস্কার করার জন্য বলব। একই সাথে ক্যাম্পটি সপ্তাহে কোনো দিন খোলা থাকবে এই বিষয়ে নির্দেশনা দিবো। একটি সাইনবোর্ডও লাগানো হবে। জেলা এ্যাকাউন্স এন্ড ফিন্যান্স অফিসার মোঃ আব্দুর রউফ বলেন, ক্যাম্পটি ভূমি অফিস দেখার কথা। মাসিক ও বাৎসরিক খরচের হিসাব তারা রাখবেন। সাপাহার উপজেলা ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক নরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) না থাকায় খরচের হিসাব দেয়া যাবে না। মোঃ হাফিজুল হক, সাপাহার নওগাঁ প্রতিনিধিঃ