করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন এ পর্যন্ত বিশ্বের ১০৬টি দেশে ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মহামারি বিষয়ক সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
নভেম্বরের শেষদিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয় ওমিক্রন। এরপর দ্রুত বিশ্বজুড়ে আধিপত্য বিস্তার করছে করোনার এ ধরনটি।
ডব্লিউএইচও’র তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ডেল্টার সংক্রমণ কিছুটা কমে বাড়ছে ওমিক্রনের সংক্রমণ। এক সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ডেল্টার সংক্রমণ ছিল ৯৯ দশমিক ২ শতাংশ, যা চলতি সপ্তাহে কমে হয়েছে ৯৬ শতাংশ। আর গত সপ্তাহে ওমিক্রনের সংক্রমণ ছিল শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ, যা চলতি সপ্তাহে বেড়ে হয়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ।
ডব্লিউএইচও বলছে, সাম্প্রতিক তথ্য থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ছে এবং এটি দ্রুত ছড়াচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন স্থানীয়ভাবে ছড়াচ্ছে।
পুরো ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র এবং এশিয়ার কিছু দেশে ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ছে গুনাত্মক হারে। জাপানের একটি সামরিক ঘাঁটিতে একটি ক্লাস্টার থেকে কভিডে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১৮০ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় প্রধান হ্যান্স ক্লুজ ইউরোপের দেশগুলোর জন্য সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, আরেকটা ঝড় আসছে।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এরইমধ্যে স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছে। বড়দিনের পর জনসমাগম ও পার্টি করার ওপর বিধিনিষেধ জারি করেছে জার্মানি।
বড়দিনের পরদিন থেকে পর্তুগালে সব বার ও নাইটক্লাব বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সুইডেনে বুধবার থেকেই কড়াকড়ি বাড়ছে। কর্মীদের বাসা থেকে অফিস করতে বলা হয়েছে। বার, ক্যাফে, রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে।
স্পেনে কেবল মঙ্গলবারই ৪৯ হাজার ৮২৩ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা মহামারী শুরুর পর থেকে এক দিনের সর্বোচ্চ।