স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ সম্প্রতি একটি পরিপত্র জারি করেছে।পরিপত্র অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুযায়ী পাসপোর্ট সংশোধন করা যাবে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীদের এনআইডি ও পাসপোর্টের মধ্যে গরমিল হলে যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে এনআইডিতে প্রদত্ত তথ্য (নাম, পিতা-মাতার নাম, বয়স ইত্যাদি) অনুযায়ী পাসপোর্ট প্রদান করা যাবে।
এছাড়া পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীদের তথ্য সংশোধনপূর্বক পাসপোর্ট রি-ইস্যু আবেদন নিষ্পত্তিকরণে সুরক্ষা সেবা বিভাগের গত ২৮ এপ্রিল জারি করা পরিপত্র অনুসরণ করতে হবে বলেও পরিপত্রে জানানো হয়েছে।
পরিপত্রটি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জন্ম-মৃত্যু রেজিস্ট্রার জেনারেল, পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালককে দেওয়া হয়েছে।
পাসপোর্ট সংশোধনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে জটিলতায় পড়তে হচ্ছে। এরইমধ্যে হাজার হাজার পাসপোর্ট সংশোধনের আবেদন পাসপোর্ট অধিদফতরে আটকে আছে।
চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল ‘তথ্য সংশোধনপূর্বক দেশে ও বিদেশে পাসপোর্ট রি-ইস্যুর আবেদনসমূহ নিষ্পত্তিকরণ’ সংক্রান্ত পরিপত্রে বলা হয়েছিল, পাসপোর্টে নাম (নিজ, পিতা ও মাতা) ও বয়স সংশোধনের জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র/জেএসসি/জেডিসি/এসএসসি/এইচএসসি/দাখিল/কারিগরি/উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও সমমানের সনদপত্র বিবেচনা করতে হবে। যাদের এ ধরনের সনদপত্র নেই তাদের ক্ষেত্রে জন্মসনদ বিবেচনা করতে হবে।
এছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও জন্মসনদ বিবেচনা করতে হবে। প্রয়োজনে স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে প্রদত্ত তথ্য যাচাই করা যেতে পারে। আবেদনে বয়স পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের ব্যবধান পর্যন্ত বিবেচনা করা যাবে বলেও ওই পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছিল।