পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় আওয়ামীলীগের প্রার্থী বিপ্লব আকনকে (৪৬) কুপিয়ে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ এসছে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। আহত বিপ্লব আকন (৪৬) ধানিসাফা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাচ্চু আকনের ছোট ভাই।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার ধানীসাফা ইউনিয়নের ফুলঝুড়ি পাতাকাটা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহা. নুরুল ইসলাম বাদল।
অভিযোগ উঠেছে, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের লোকজন বিপ্লবকে কুপিয়ে জখম করে বাঁ হাতের কবজির অনেকাংশ কেটে দিয়েছেন। তার মাথা, পিঠ ও দুই হাতে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঠবাড়িয়ায় সাফা ইউনিয়নের নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন তালুকদারের নির্বাচনী সভা শেষে প্রচারণায় নামে তার কর্মী-সমর্থকেরা। ফুলঝুড়ি পাতাকাটা নামক এলাকায় লিফলেট নিয়ে প্রচারণার সময় প্রতিপক্ষ তাদের উপর হামলা চালায় ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন তালুকদারের এক কর্মীর হাতের কব্জি কেটে গেছে। মারাত্মকভাবে জখম হওয়া ওই ব্যক্তির নাম নাম বিপ্লব বেপারী। তাকে আহত অবস্থায় মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তানভীর আহমেদ বলেন, গতকাল রাত ১০টার দিকে বিপ্লব ব্যাপারীকে হাসপাতালে আনা হয়। তার মাথা, পিঠ ও দুই হাতে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। তার বাঁ হাতের কবজি অনেকাংশে কেটে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহা. নুরুল ইসলাম বাদল জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত এবং অভিযানও চলছে। আশা করছি ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পারব।