আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য দেশে যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি সবচেয়ে উত্তম সেটা অনুসরণ করে রাষ্ট্রপতি সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করছেন। ইতোমধ্যে দু’টি দলের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। অথচ বিএনপি নেতারা আজ এ বিষয় নিয়েও নেতিবাচক কথাবার্তা বলছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মুজিববর্ষ ও মহান বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ও মহান বিজয়ের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ।
এসময় বিএনপিকে সংলাপে অংশ নেয়ার আহবান জানিয়ে হানিফ বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা বলার জন্য আপনারা (বিএনপি) বহু সময় পাবেন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ হবে। এখন নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন করা সম্ভব নয় বলে সংলাপের আয়োজন করেছেন। সংলাপের মাধ্যমে সবার মতামত নিয়ে সার্চ কমিটির মাধ্যমে কমিশন গঠন করা হবে। আপনারা মহামান্য রাষ্ট্রপতির আহবানে সংলাপে সাড়া দিন, সেখানে আপনাদের মতামত তুলে ধরুন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতি নিয়েও সেখানে আলোচনার সুযোগ পাবেন। আপনাদের যদি ভালো পরামর্শ থাকে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি সেটা বিবেচনা করতে পারেন। আপনারা সংলাপে অংশ নিয়ে পরামর্শ দিন।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, জাতি আজ দুই ধারায় বিভক্ত। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি। যারা পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলো স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করে তারা জাতিকে বিভক্ত করে দিয়েছে। একদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি। অন্যদিকে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে না, পাকিস্তানের আদর্শে বিশ্বাসী তারা বিএনপি-জামায়াত প্লাটফর্মে আছেন। এ বিভাজন দূর না হলে অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়া কঠিন হবে। বাংলাদেশে থেকে যারা পাকিস্তানের ভাবাদর্শে বিশ্বাসী তারা পাকিস্তানের সর্মথক, তারা বাংলাদেশের শত্রু। পাকিস্তানের ভাবাদর্শে বিশ্বাসীদের বয়কট করতে হবে।এদের বিরুদ্ধে সর্তক থাকতে হবে। সোনার বাংলা গড়তে হলে অশুভ শক্তিকে নির্মূল করতে হবে। স্বাধীনতার বিরোধীতাকারী রাজনৈতিক দলগুলোকে বয়কট করতে হবে, রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করতে হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরের মাথায় দাঁড়িয়ে আজ বাংলাদেশ অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বেই আমরা সোনার বাংলা গড়বো।
আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। আইইবি প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর। ইঞ্জিনিয়ার মো. রনক আহসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইবি সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু)। এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন আইইবি ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো, নুরুজ্জামান, আইইবি ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রশাসন ও অর্থ) ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মনজুর মোর্শেদ প্রমুখ।