কোনোমতেই থামানো যাচ্ছে না লঞ্চ দুর্ঘটনা। শত শত প্রাণহানি ঘটলেও দুর্ঘটনা রোধে নেওয়া হয় না কোনো কার্যকর ব্যবস্থা। ৫ বছরে সাড়ে তিন হাজার নৌ দুর্ঘটনা, দেখার কেউ নেই?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লঞ্চ ছাড়ার আগে ইঞ্জিন রুম, ফুয়েল কন্ট্রোল প্যানেল, নেভিগেশন সিস্টেমসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হয় না অধিকাংশ লঞ্চে।
প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ চলাচল করে দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের নদী পথের বিভিন্ন রুটে। দীর্ঘদিন ধরে নকশায় ত্রুটি, অদক্ষ ইঞ্জিন অপারেটর, অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহনসহ নানা অভিযোগ নৌ-পরিবহনে।
বিচ্ছিন্নভাবে লঞ্চে আগুন লাগলেও প্রাণহানির ভয়াবহতা ছাড়িয়ে যায় বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) গভীর রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ আগুন লাগার ঘটনা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বার্ষিক পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৫ বছরে প্রায় সাড়ে তিন হাজার নৌ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রাণ যায় ৩ হাজারের অধিক মানুষের।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুনের সূত্রপাত যেভাবে
গত এপ্রিলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় মারা যান সাবিত আল হাসান লঞ্চের ৩৪ যাত্রী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লঞ্চ ছাড়ার আগে ইঞ্জিন রুম, ফুয়েল কন্ট্রোল প্যানেল, নেভিগেশন সিস্টেমের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখা হয় না অধিকাংশ লঞ্চে।
বুয়েটের লেকচারার মো. ইমরান উদ্দিন বলেন, লঞ্চের নাবিক ও মাস্টারদের কি কোনো পূর্ব প্রস্তুতি ছিলো? তারা কি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত? লঞ্চের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন ছিল? আমাদের দেশে বাস্তবে লঞ্চ ছাড়ার আগে এসব কিছুই পরীক্ষা করে দেখা হয় না।
লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে শত শত লিটার তেল থাকায় শুধু পানি দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
চলতি বছর নদীপথে এ পর্যন্ত প্রায় দুশোটি দুর্ঘটনা ঘটেছে।