পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের কার্বন নিঃসরণ পরিকল্পনা বা হালনাগাদ ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি) বিশ্বে একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত বাংলাদেশের আপডেটেড এনডিসি ডিসেমিনেশন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের নিজস্ব সক্ষমতায় ও উন্নত বিশ্বের সহযোগিতায় মোট ২১ দশমিক ৮৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি প্রশমন কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। এসব কর্মসূচি দেশের গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন কাঠামোর (ইউএনএফসিসি) আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাসের লক্ষে ২০১৫ সালে প্রণীত প্যারিস জলবায়ু চুক্তি করে। সে অনুযায়ী ২০১৫ সালে বাংলাদেশ গ্রিন হাউজ গ্যাসের নিঃসরণের মাত্রা ২০৩০ সাল নাগাদ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ইন্টেন্ডেড ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনস (আইএনডিসি) পরিকল্পনা পেশ করে। বাংলাদেশ সরকার দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন নীতি নির্ধারণী দলিলসমূহে এরই মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন এবং এর সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর বিষয়সমূহ সন্নিবেশিত করেছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি প্যারিস জলবায়ু চুক্তির শর্তানুযায়ী বাংলাদেশ আইএনডিসি এর হালনাগাদ সম্পন্ন করেছে। শুধু উন্নত বিশ্বের দিকে না তাকিয়ে থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার বিশদ পরিকল্পনা এবং কৌশল প্রণয়নের মাধ্যমে নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
এনডিসি ডিসেমিনেশন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্ট্যাডিজ এর নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী প্রমুখ।