রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেলের সামর্থ্য বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তুলতে রেলকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার রেলভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ৫৮০টি মিটারগেজ ওয়াগন ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক মো. মিজানুর রহমান এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন চায়নার সিআরআরসি কোম্পানি লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাই জিয়েন।
উল্লেখ্য, ৩১৮ কোটি ৬৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫৮০টি মিটারগেজ ওয়াগন সংগ্রহের লক্ষ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে ১৮ থেকে ৩০ মাসের মধ্যে ওয়াগনগুলো সরবরাহ করা হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, রেল বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আত্মনির্ভরশীল, মর্যাদাপূর্ণ দেশ গঠনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জনগণের কথা মাথায় রেখে সুদূরপ্রসারী চিন্তা থেকে রেলওয়েকে আলাদা মন্ত্রণালয় করে দিয়েছেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, দেশের রেল যোগাযোগ বাড়াতে অনেক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন বন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভারতের সঙ্গে ৮টি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টের মধ্যে বর্তমানে পাঁচটি চালু করা হয়েছে। আরো তিনটি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
খুলনার সঙ্গে মোংলা পোর্টে যোগাযোগ স্থাপিত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী বছর ডিসেম্বরে কক্সবাজার রেললাইন চালুর লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে চলছে। পর্যায়ক্রমে সব মিটারগেজকে ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে। যমুনা নদীর ওপর আলাদা সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে।
এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।