ঝালকাঠির বিষখালী ও সুগন্ধা নদী থেকে আরও দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ৪৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী।
তিনি জানান, আজ বিষখালী ও সুগন্ধার মোহনা থেকে সকাল ৮টায় ফায়ার ব্রিগেডের সদস্যরা একটি মরদেহ দেখতে পান। পরে দুপুর পৌনে ২টায় কোস্টগার্ড আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করে। এই নিয়ে গত দুই দিনে ৩টি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
কোস্টগার্ড মিডিয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. তাহসিন জানান, দুপুর পৌনে ২টায় বিষখালী নদী থেকে জিনসের প্যান্ট ও শার্ট পরিহিত ১৩/১৪ বছরের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে বরগুনা সিআইডি জানিয়েছে ৪২ জন স্বজন ডিএনএর নমুনা দিয়েছেন। একজনের বিপরীতে একাধিক সদস্যও নমুনা দিয়েছেন। তবে রক্তের সম্পর্ক যাদের আছে তাদেরটাই নেওয়া হচ্ছে।
আমরা ইতোমধ্যে পুড়ে যাওয়া ডেডবডি থেকে হার, চুল, নখ সংগ্রহ করে ঢাকা সিআইডি ল্যাবে পাঠিয়েছি, সেখান থেকে নিশ্চিত হতে এক থেকে দুই মাস পর্যন্ত লাগবে।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা গণকবর দিইনি। প্রত্যেককে আলাদা কবর দিয়েছি। এটি কোনোভাবেই গণকবর নয়।’
এদিকে নিখোঁজের সঠিক সংখ্যা নিরুপনে হিমসিম খাচ্ছে ঝালকাঠি ও বরগুনা জেলা প্রশাস। ঝালকাঠির রেডক্রিসেন্ট ইতোমধ্যে ৫২ জনের নিখোঁজের তালিকা তৈরি করেছে। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে ৩৬ জনের তালিকা করেছে।