সপ্তাহে ৬দিন শ্রমিকদের কাজের ব্যবস্থা, বিড়ির উপর শুল্ক কমানো, বিড়ির উপর অর্পিত ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, তামাকের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ, নকল বিড়ি উচ্ছেদসহ পাঁচ দফা দাবিতে কুষ্টিয়ায় মানববন্ধন করেছে বিড়ি শ্রমিক ও তামাক চাষীরা।
বুধবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
কুষ্টিয়া জেলা বিড়ি সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো: নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও বিড়ি শ্রমিক নেতা তরুন শেখ এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন কুষ্টিয়া জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি ডাক্তার আমির হোসেন বাচ্চু। বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক মো: হারিক হোসেন, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কুষ্টিয়া ও এতদঅঞ্চলের মাটিতে বালির পরিমাণ বেশী হওয়ায় অন্য কোনো ফসলের ফলন ভালো হয় না। ফলে তামাক চাষ করে সংসার চালাতে হয়। তামাক ব্যবহৃত হয় বিড়ি শিল্পে। কিন্তু বিদেশী বহুজাতিক তামাক কোম্পানীর ষড়যন্ত্রে বিড়িতে মাত্রাতিক্ত করারোপের কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিড়ি কারখানা বন্ধ হওয়ায় তামাক চাষীদের উৎপাদিত তামাক বিক্রয় করতে পারছে না। ফলে তামাক চাষী ও বিড়ি শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিড়িতে শুল্ক বৃদ্ধি হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা শুল্ক ফাঁকি দিতে জাল ব্যান্ডরোল ও ব্যান্ডরোল বিহীন বিড়ি তৈরি করে বাজারজাত করছে। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বক্তারা আরো বলেন, বিদেশী বহুজাতিক কোম্পনীর আগ্রাসনে তামাক চাষীরা নিরুপায় হয়ে পড়ছে। চাষীরা বিদেশী টোব্যাকো কোম্পানীর কাছে জিম্মি হয়ে উৎপাদিত তামাকের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যার কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে হাজার হাজার তামাক চাষী ও ব্যবসায়ী। ফলে তামাক চাষীরা পরিবার নিয়ে চরম বেপাকে পড়েছে। তামাক চাষী ও বিড়ি শ্রমিকদের সমস্যাগুলো সুনজর দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান বক্তারা।
মানববন্ধন শেষে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ৫ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রদান করেন।