সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত আটজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার দুপুরে উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নে এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ দুই জনকে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতদের সিলেটের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নে নির্বাচনে তাড়ল গ্রামের বিএনপি নেতা আলী আহমদ নির্বাচিত হন। শনিবার বিকেলে দিরাই বাজারে এই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আহমেদ চৌধুরীর ভাই সুজন চৌধুরীর সঙ্গে নির্বাচিত আলী আহমদের সমর্থক ছুফি মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সুজন চৌধুরী ছুফি মিয়াকে ঘুষি মারেন। এ ঘটনায় দুই পক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়। রোববার সকালে আহমেদ চৌধুরী এ ঘটনা মীমাংসা করার জন্য ছুফি মিয়ার বাড়িতে যান। সেখানে ছুফি মিয়ার আত্মীয় স্বজনরা আহমেদ চৌধুরীর ওপর চড়াও হন। ঘটনার সংবাদ আহমেদ চৌধুরীর বাড়িতে পৌঁছালে দুইপক্ষের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় উভয়পক্ষের ৮ জন গুলিবিদ্ধ হন।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান জানান, ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় তাড়ল গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, আহত ৪ জনকে দেখা গেছে, অন্যদের পাওয়া যায়নি।
তাড়ল ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আলী আহমদ ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আহমেদ চৌধুরীর সমর্থকদের আগ্নেয়াস্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি পরে বিস্তারিত জানাবেন বলে ফোন কেটে দেন।