ওমিক্রন নয় দেশে, এখনও প্রাধান্য বিস্তার করছে ডেল্টা ধরন। সঙ্গে মাস্ক না পরা, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমাগম বাড়ায় সংক্রমণও বেড়েছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব ও রোগনিয়ন্ত্রণ গবেষণা কেন্দ্র (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর এ তথ্য জানান।
ডা. আলমগীর বলেন, বাংলাদেশে এখনো করোনার ডেল্টা ধরনেরই প্রাধান্য চলছে। ওমিক্রনের বিস্তার এখনও সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। ওমিক্রনে দুই-একজন আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যখন ওমিক্রন পাওয়া যাবে, তখন দেখা যাবে সবাই ওমিক্রনে আক্রান্ত। এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় একই অবস্থা। আমাদের এখানেও ওমিক্রন ছড়াবে। হয়ত আরও দুই-এক সপ্তাহ পর সার্বিক পরিস্থিতি কী তা বোঝা যাবে।
দেশে গত ডিসেম্বরে প্রথম করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়। সঙ্গত কারণেই এখন নতুন উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে ওমিক্রন। প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনার নতুন এই ধরন ছড়িয়ে পড়েছে। করোনার বিস্তার প্রতিরোধে পশ্চিমবঙ্গসহ একাধিক রাজ্যে এরই মধ্যে আবার আরোপ করা হয়েছে বিধিনিষেধ। সোমবার থেকে বন্ধ হয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গের স্কুল-কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মানুষের চলাচলেও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। করোনার ডেলটা ধরনের বিপর্যয় পার করে আসা ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সম্প্রতি আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৮০ শতাংশের বেশি মানুষের দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছেন।
তবে দেশের ডেলটার কারণেই সংক্রমণ বাড়ছে এমনটি মনে করছেন তাহমিনা শিরিন। তিনি বলেন, নভেম্বরে শতভাগ রোগী ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত ছিলেন। এক মাসে তো তা উবে যাবে না। তাই আমরা বলতে পারি না যে ওমিক্রনের জন্যই সংক্রমণ একটু একটু করে বাড়ছে।