রাজধানীর বিজয় সরণিতে ‘বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাদুঘরটির উদ্বোধন করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর তরুণদের দেশপ্রেম উজ্জিবিত হয়ে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানে উদ্বুদ্ধ করতে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখানে আমাদের নৌবাহিনীর জন্য আলাদা জায়গা আছে, সেনা বাহিনীর জন্য জায়গা আছে, বিমান বাহিনীরসহ সবারই আলাদা আলাদা প্রদর্শনীর ব্যবস্থা আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাদুঘরে শিশু, তরুণ ও বয়োবৃদ্ধ যারাই আসবে তারা যেমন জ্ঞান অর্জন করবে, সেই সঙ্গে সঙ্গে এখানে আরেকটি বিষয় হচ্ছে- আমাদের সশ্রস্ত্র বাহিনীতে তরুণ প্রজন্ম যোগদান করতে এ জাদুঘর দেখে আরও আগ্রহী হবে। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবদান রাখতে তারা উদ্বুদ্ধ হবে। এটাই আমি মনে করি।
তিনি বলেন, কাজেই জাদুঘরটা শুধু প্রদর্শনীর জন্যই না, এটা আমাদের এই তরুণ প্রজন্মকে তাদের ভেতরে যেমনএকটা আকর্ষণ হবে বা দেশপ্রেম উদ্বুদ্ধ হবে এবং দেশপ্রেম জাগ্রত হয়ে তারা আমাদের সশ্রস্ত্র বাহিনীতে আমাদের সার্বভৌমত্ব- স্বাধীনতা রক্ষার জন্য যোগদান করতে আগ্রহী হবে।
বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরটির নান্দনিক সৌন্দয্যের কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, সামরিক জাদুঘরকে অত্যন্ত আধুনিক করে গড়ে তোলা। যে সেটা এত দৃষ্টি নন্দন হয়, এটা যেন সারা বিশ্বের যত সামরিক জাদুঘর হয়েছে তার মধ্যে যেন শ্রেষ্ঠ জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। সেটাই আমার আকাঙ্খা ছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি সত্যিই আনন্দিত, সত্যিই এটাকে, আমি মনে করি এখনো, আমি অবশ্য একেবারে সরেজমিনে দেখিনি, প্রাথমিক পর্যায়ে যখন তৈরি শুরু হয় তখন কিছুটা দেখেছি, আর বারবার যখন যতটুকু ডেভেলপ হয়েছে আমি ছবিগুলো দেখেছি। যখন যেটা নির্দেশনা দেয়ার আমি দিয়েছি। আমি যতটুকু এখন দেখলাম আমি মনে করি -এটা হবে সারা পৃথিবীর মধ্যে সর্বশেষ্ঠ সুন্দর, আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন একটি সামরিক জাদুঘর।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।