জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলার ঘটনায় ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে উপজেলার তারাকান্দি যমুনা সার কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ, এসআই শফিউল আলম সোহাগ, এসআই সুলতান মাহমুদ, এএসআই মেহেদী হাসান, কনস্টেবল খোকনুজ্জামান ও সোলায়মান।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ধানমন্ডি থানায় জিডি করার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের লোকজন বৃহস্পতিবার রাতভর তারাকান্দি এলাকায় আতশবাজি হয়। শুক্রবার সকালে যমুনা সার কারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে তারা দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। পুলিশ এতে বাধা দিলে তারা সংঘর্ষে জড়ায়।
এ সময় পুলিশ রফিক গ্রুপে যুক্ত হওয়া বিএনপির ক্যাডার মোর্শেদকে আটক করে। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা চালায়। এ সময় তদন্ত কেন্দ্রের প্রধান ফটক বন্ধ করে দিলে উপর দিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফসহ অন্তত ছয় জন পুলিশ আহত হন।
ইনচার্জ আব্দুল লতিফ জানান, একাধিক মামলার আসামি মোর্শেদের নেতৃত্বে ৬০-৭০ জন লোক সকাল থেকে কারখানা এলাকায় দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। মোর্শেদকে আটক করা হলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমিসহ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।